রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দারুণ করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দারুণ করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা

১০ উইকেটই পেসারদের, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম

নতুন দিগন্ত? তা বলাই যায়। বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা অন্তত তেমনটি ভাবতে পারেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের ইনিংসে সবগুলো উইকেটই নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা—এমন দৃশ্য অবশ্য নতুন না। কিন্তু টেস্টে এই প্রথম।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে আজ চতুর্থ দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। সবগুলো উইকেটই নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন বাংলাদেশের তিন পেসার—হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও তাসকিন আহমেদ। টেস্টে এই প্রথম এমন নজির দেখা গেল বাংলাদেশের পেসারদের কাছ থেকে।

৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন হাসান। টেস্টে এটাই তাঁর প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম পেসার হিসেবেও নিলেন ৫ উইকেট।

গতিময় বোলিং করে ৪ উইকেট নেন নাহিদ

হাসানের এমন পারফরম্যান্সই নজিরটি প্রথমবারের মতো দেখার অন্যতম কারণ। ৪৪ রানে ৪ উইকেট নেন আরেক পেসার নাহিদ রানা এবং তাসকিন নেন ৪০ রানে ১ উইকেট। টেস্টে এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের ১০টি উইকেটই নেওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের পেসারদের জন্য এটাই প্রথম হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে আরও দুবার এই কীর্তি গড়েছেন তাঁরা এবং এর একটিতে জড়িয়ে আছে হাসানের নামও।

দুটি নজিরই গত বছর। প্রথমটি গত ২৩ মার্চ সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে। বাংলাদেশের ১০ উইকেটে জয়ের সে ম্যাচে ১০১ রানে অলআউট হয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ২৯ রানে ২টি উইকেট নিয়েছিলেন ইবাদত হোসেন, ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন এবং হাসান নেন ৩২ রানে ৫ উইকেট। তিন সংস্করণ মিলিয়ে হাসানের ক্যারিয়ারে এটাই সেরা বোলিং এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার সেটাই প্রথম নজির গড়েছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার দ্বিতীয় নজিরও গড়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা ২৩ তারিখে। সেটা অবশ্য গত বছর ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তবে আয়ারল্যান্ড ম্যাচের মতো সেই তৃতীয় ওয়ানডেতেই। এবার ভেন্যু নেপিয়ার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জয়ের সে ম্যাচে ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান ও সৌম্য সরকার। ১ টি উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।

টেস্টে প্রতিপক্ষের অলআউট হওয়া ইনিংসে পেসারদের ১০ উইকেট নেওয়ার ঘটনা দেখা গেছে ৮৫৯বার। ওয়ানডেতে ১৫৮বার এবং টি-টোয়েন্টিতে ২৪বার।