অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের আউটের পরই ধস। ১৫ রানের মধ্যে ফিরে যান আরও দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ।
এরপর মুশফিকুর রহিম নেমে মাত্র ৩ বল খেলেই গজনফরের ক্যারম বল বুঝতে না পেরে স্টাম্পিং। রান করেন মাত্র ১।
কাল রাতে শারজায় আফগানিস্তানের ২৩৫ রানের জবাব দিতে নেমে দলের ও রকম ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে মুশফিকের আউট হওয়ার ধরন নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। তবে একই সঙ্গে এই প্রশ্নও জেগেছিল—মুশফিক কেন সাতে ব্যাটিং করতে নামলেন?
২০১৫ বিশ্বকাপে মেলবোর্নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের পর এই প্রথম তিনি ছয়ের পর ব্যাটিং করলেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বেশির ভাগ সময় চার-পাঁচেই ব্যাটিং করেছেন মুশফিক। গত বছর দেড়েক বেশি খেলেছেন ছয়ে।
কিন্তু এত বছর পর কাল আবার সাতে কেন? কাল ওই সময় ম্যাচের যে পরিস্থিতি ছিল, মুশফিকের আরও আগে নামাটাই ছিল স্বাভাবিক।
তবে খোঁজ নিয়ে যে কারণটা জানা গেল, তা মোটেও ভালো কিছু নয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, আফগানিস্তানের ইনিংসের একেবারে শেষ দিকে উইকেটকিপিং করার সময় বাঁ হাতের আঙুলে চোট পান মুশফিক। আঙুলের প্রাথমিক শুশ্রূষা করে তারপর নেমেছেন ব্যাটিংয়ে। সময় নিতে হয়েছে ব্যথা কমার জন্যও।
আরও বড় দুঃসংবাদ হলো, আঙুলের এই চোটের জন্য শারজায় আগামী শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মুশফিকের খেলাই হচ্ছে না। কাল রাতেই করানো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর আঙুলের হাড়ে চিড় বা ফাটল ধরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ আরও কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে আসল অবস্থা।
তবে একটি সূত্র এই প্রতিবেদককে বলেছে, প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাঁর চোটের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, তাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ওয়ানডেতে মুশফিকের না খেলাটা একরকম নিশ্চিত। তবে ১১ নভেম্বরের শেষ ম্যাচে খেলতে পারবেন কি না, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।
এর আগে পাকিস্তান সফরেও কাঁধে চোট পেয়েছিলেন মুশফিক। ভারত সফর ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলেছেন বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে। যদিও চোট বাড়ার ঝুঁকি এড়াতে ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে কিছু বিধিনিষেধ মানতে হয়েছে তাঁকে।