কানপুর টেস্টে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখতে পারেন কোন ক্রিকেটার? বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা হতে পারেন ছন্দে থাকা দুই ক্রিকেটার—মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস।
ভারতের কথা বলতে গেলে তো অনেকের নামই বলতে হয়। ভারত দলে যে ম্যাচ উইনারের কমতি নেই! তবে এই টেস্টে দুই দলের ক্রিকেটারদের বাইরে বৃষ্টিরও একটা প্রভাব থাকতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া ওয়েবসাইট আকুওয়েদার জানিয়েছে, কানপুর টেস্টের প্রথম দুই দিন বজ্রপাতসহ বৃষ্টির জোরালো সম্ভাবনা আছে।
শুক্রবার শুরু হবে কানপুর টেস্ট। তবে কানপুরে বুধবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির বেশ সম্ভাবনা আছে। আকুওয়েদার জানিয়েছে, টেস্টের প্রথম দিন অর্থাৎ শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ, শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সেই সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ।
অবশ্য বৃষ্টির সম্ভাবনার পরও পুরো টেস্ট ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়ে আশাবাদী উত্তর প্রদেশের ক্রীড়া বিভাগের কর্মকর্তা অমিত পাল, ‘হ্যাঁ, বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। নিষ্কাশনব্যবস্থাও এখানে ভালো। আশা করছি, পুরো খেলা হবে।’
কানপুর টেস্টে সিরিজ বাঁচাতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে যে জয়ের বিকল্প নেই নাজমুল হোসেনের দলের। সিরিজ জিততে ভারতের ড্র হলেই চলবে। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিশ্চয় ভারত ড্রর জন্য খেলবে না, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্টেরও একটা বিষয় তো আছে।
চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে ২৮০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। সেই উইকেটে কিছুটা ঘাসও ছিল, সকালের সেশনে উইকেটে আর্দ্রতা থাকায় সাহায্য পেয়েছেন পেসাররা। কিন্তু কানপুরের উইকেট একটু অন্যরকম হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এ ছাড়া বৃষ্টিরও একটা প্রভাব থাকতে পারে।
কানপুরের উইকেট ঐতিহ্যগতভাবে ব্যাটসম্যান-সহায়ক। তবে ম্যাচের সময় গড়ানোর সঙ্গে উইকেটের আচরণও পাল্টে যেতে থাকে। স্পিনাররা বলে বাঁক পান। কানপুর স্টেডিয়ামে ৪১ বছর ধরে কাজ করা এক গ্রাউন্ড স্টাফ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, টেস্টের তৃতীয় দিন থেকেই স্পিনাররা এখানে দাপট দেখাবেন।