উপলক্ষটা ছিল স্টুয়ার্ট ব্রডের। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজার ওপেনিং জুটির পর সে উপলক্ষে জল ঢেলেছে বৃষ্টি। ৩৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ওভালে ওপেনিং জুটিতে ১৩৫ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া, এরপর নামে বৃষ্টি। চতুর্থ দিনের খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। খাজা অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে, তাঁর সঙ্গী ওয়ার্নারের রান ৫৮। আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ২৪৯ রান, বাকি ১০ উইকেটই। ২-১-এ এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়ের জন্য অবশ্য ড্র-ই যথেষ্ট হবে
সকালে ক্যারিয়ারে শেষবারের মতো জেমস অ্যান্ডারসনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন ব্রড, আগের দিনের সঙ্গে দুজন মিলে যোগ করেন ৬ রান। এরপর তাঁদের মূল যে কাজ, সেই বোলিংয়ে শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ওভালের উইকেট এখনো ভালোমতোই ব্যাটিং সহায়ক, পেস-স্পিনের সমন্বয়ও সেখানে টলাতে পারেনি ওয়ার্নার-খাজাকে। ফিট হয়ে বোলিংয়ে ফিরেছেন মঈন আলীও। ৩৩তম ওভারের আগে মার্ক উডকে বোলিংয়ে আনেননি স্টোকস, হয়তো রিভার্স সুইং কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। তবে বৃষ্টি এসে সে সব ভেস্তে দিয়েছে।
৭৫ রানে অবিচ্ছিন্ন থেকে মধ্যাহ্নবিরতিতে যান দুজন। এরপর দুজনের জুটি পেরোয় ১০০। ২০২২ সালের মার্চের পর প্রথমবারের মতো ওপেনিং জুটিতে ১০০ রানের দেখা পেল অস্ট্রেলিয়া, ২০১৭ সালের পর অ্যাশেজে প্রথমবার, ২০১৫ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার। উডের দ্বিতীয় বলে খাজার ব্যাটের কানায় লেগে হয় চার, তাতেই আসে তাঁর ফিফটি। ওয়ার্নার ফিফটি পান উডের বলেই ডাবলস নিয়ে।
১৩৫ রানের জুটিতে দুজন মিলে মারেন ১৭টি চার। চা-বিরতির ঘণ্টাখানেক আগেই নামে বৃষ্টি, চা-বিরতিও ডাকা হয় আগেভাগে। তবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি বদলায়নি শিগগিরই। ইংল্যান্ডের সিরিজ ড্র করার স্বপ্নও সব মিলিয়ে ধাক্কা খেয়েছে ভালোভাবেই। তবে এ সিরিজের যা গতিবিধি, তাতে সহজে কোনো কিছু আর পেল কই কোনো দল!