সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন, মুমিনুল হক—বাংলাদেশের একাদশে প্রথম চার ব্যাটসম্যানই বাঁহাতি। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতে আসেন মুশফিকুর রহিম, তিনি ডানহাতি। মিডল অর্ডারে এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব আল হাসান, তিনি আবার বাঁহাতি।
বাংলাদেশের টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের ঠাসাঠাসি। এটা কি প্রতিপক্ষকে একটু বাড়তি সুবিধা দেয়—এমন প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্নটা আরও বেশি করে উঠেছে চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান সাদমান, জাকির ও মুমিনুলের আউটের ধরনে। তিনজনই একই রকমে আউট হয়েছেন—রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে আসা বলে বোল্ড।
টপ অর্ডারের সব ব্যাটসম্যানই বাঁহাতি হওয়ায় প্রতিপক্ষ অধিনায়কের পরিকল্পনা সাজাতে সহজ হয়। বোলিং পরিবর্তন নিয়েও অতটা ভাবতে হয় না প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প তৃতীয় দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, ব্যাটিং লাইনআপে বাঁহাতিদের ঠাসাঠাসিতে কোনো সমস্যা দেখছেন না।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে বাাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের আধিক্য নিয়ে হেম্প বলেছেন, ‘বোলিং লাইনের বিষয়টি মাথায় রাখলে, আমি বলব হ্যাঁ (বাঁহাতিদের ঠাসাঠাসি সমস্যা)। কিন্তু তারা সবাই আলাদা। তারা সবাই আলাদা আলাদা লেংথে রান করে এবং প্রত্যেকের শক্তির জায়গা ভিন্ন। এটা আসলে এক রকমের সমস্যা, আবার সমস্যাও না।’
হেম্প এরপর যোগ করেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে আপনি ব্যাটিং লাইনআপে বাঁহাতি–ডানহাতির মিশ্রণ ঘটাতে পারেন। কিন্তু এটা আমাদের জন্য কোনো সমস্যা নয় বলেই আমি মনে করি।’