ফিফটির পর মেহেদী
ফিফটির পর মেহেদী

মেহেদীর ব্যাটে জিতল রংপুর

বিপিএল ড্রাফটে প্রথম ডাকেই শেখ মেহেদী হাসানকে দলে নিয়েছিল রংপুর রাইডার্স। অফ স্পিন বোলিংয়ের পাশাপাশি মেহেদীর পিঞ্চ হিটিং–সামর্থ্যটা যেকোনো টি-টোয়েন্টি দলের জন্য কার্যকরী। সে দক্ষতাটাই কাজে লাগাতে চেয়েছিল রংপুর।

সে জন্য মেহেদীকে ম্যাচের পর ম্যাচ টপ অর্ডারে সুযোগ দিয়েছে দলটি। কিন্তু ব্যাটসম্যান মেহেদীর কাছ থেকে বড় রান পাননি নুরুলরা। আজ অবশেষে মেহেদীর ব্যাটে রানের দেখা পাওয়া গেল।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢাকা ডমিনেটরসের ১৪৪ রান রংপুর টপকে গেছে মেহেদীর ৫৫ বলে ৭২ রানের ইনিংসে। রংপুরের ৫ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরাও মেহেদী।

রানতাড়ায় ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম আউট হলে ৩ নম্বরে নামেন মেহেদী। পাওয়ারপ্লেতে স্পিনের বিপক্ষে দ্রুত রান তুলে রংপুরের রানতাড়ার কাজটা সহজ করে দিয়েছেন। ওপেনার রনি তালুকদারের সঙ্গে যোগ করেছেন ৪২ বলে ৬৩ রান।

২৯ রান করেন রনি তালুকদার

আউট হওয়ার আগে নুরুল হাসান ও মোহাম্মদ নেওয়াজের সঙ্গেও কার্যকরী জুটি গড়েন মেহেদী। শেষ পর্যন্ত আল আমিন হোসেনের বলে এলবিডব্লুর শিকার হন। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি মেহেদীর। ৭২ রানের ইনিংসে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মেরেছেন। ইনিংসে ১ ওভার বাকি থাকতেই ঢাকার লক্ষ্য টপকে যায় রংপুর।

রংপুরের মতো ঢাকার ইনিংসটা একাই টেনেছেন উসমান গনি। তিনে নামা এই আফগান ব্যাটসম্যান ৫৫ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল উসমানের ইনিংসে।

শেষ ওভারে ২টি ছক্কা ও ১টি চার মেরে ঢাকার রানটাকে প্রতিযোগিতা করার মতো জায়গায় নিয়ে যান। ৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট নেওয়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই ছিলেন রংপুরের সেরা বোলার।