মাঠে ক্রিকেটাররা কত–কীই না মন্তব্য করেন। প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবে দুর্বল করার উদ্দেশ্য নিয়ে করা এসব মন্তব্য শুধু গালিগালাজ বা কটু কথাবার্তাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না, অনেক সময় কৌতূককরও হয়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে এমন মন্তব্য ক্রিকেটারদের অনেকের রসিকতার মানসিকতাকেই সামনে নিয়ে আসে।
রোহিত শর্মা এসব ব্যাপারে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকেন বরাবরই। মাঝেমধ্যেই মাঠের মাইক্রোফোনে রোহিতের অনেক রসিকতা দর্শকদের কানে এসেছে। যেমন কাল আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচের কথা এখন রীতিমতো ভাইরাল!
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুর হয়ে ব্যাট করছিলেন দিনেশ কার্তিক। ইনিংসের শেষ ওভারে আকাশ মাধওয়ালের বলে রীতিমতো ঝড়ই বইয়ে দেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। টানা ৩ বলে ২ ছক্কা আর ১ চারে নেন ১৬ রান। রোহিত বোলার নন যে ঝড় থামাতে বিশেষ কিছু করতে পারবেন! কিন্তু ফিল্ডার হিসেবে কিছু একটা বলে কার্তিকের মনোযোগে ব্যাঘাত তো ঘটানো যায়! রোহিত তাই বলে ওঠেন, ‘এ তো বিশ্বকাপ খেলার জন্য চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। শাবাশ! ওর মাথায় বিশ্বকাপ ঘুরছে। শাবাশ দিনেশ! তোমাকে বিশ্বকাপে খেলতেই হবে।’ রোহিতের এই মন্তব্য পিচ মাইক্রোফোন হয়ে চলে আসে সম্প্রচারে।
রোহিত ভারত জাতীয় দলের অধিনায়ক। জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। দল ঘোষণার আগে অধিনায়কের মুখে সম্ভাব্য একজন সম্পর্কে এমন মন্তব্য বেশ চমকপ্রদই। তবে ব্যাপারটা সরল থাকছে না মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই। কার্তিক খেলছিলেন বেঙ্গালুরুতে, রোহিত মুম্বাইয়ে। কার্তিক ওভাবে খেলছিলেন বলেই প্রতিপক্ষ হিসেবে রোহিতের মুখে অমন কথা উঠে এসেছে। যদিও কার্তিক এমন আরও কিছু ইনিংস খেললে হয়তো নির্বাচকদের ভাবনায় গুরুত্বের সঙ্গেই থাকবেন।
কাল কার্তিকের ২৩ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে বেঙ্গালুরু। কিন্তু এই সংগ্রহ পাত্তা পায়নি মুম্বাইয়ের কাছে। ঈষান কিষান ও সূর্যকুমার যাদবের দুই ফিফটিতে ২৭ বল আর ৩ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে যায় মুম্বাই।