ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজ টানা পঞ্চম জয় পেয়েছে আবাহনী। তবে এদিনই প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক। তবে জিতেছে সাকিব আল হাসানের শেখ জামাল ধানমন্ডি।
পুরো ৫০ ওভার খেলে ৭ উইকেটে ২১৭ রান, বিকেএসপিতে আজ সিটি ক্লাবের বিপক্ষে খুব বেশি রান করতে পারেনি আবাহনী। তবে এই স্কোর নিয়েই ৫২ রানের বড় জয় পেয়েছে ঢাকার ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল দলটি। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর এটি পঞ্চম ম্যাচে পঞ্চম জয়।
আবাহনীর ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন আফিফ হোসেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের। দুজনের অবশ্য একসঙ্গে ব্যাট করা হয়নি। দলকে ৯৫ রানে রেখে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে নাঈমের বিদায়ের পরই ব্যাটিংয়ে নামেন আফিফ। এবারের লিগে প্রথমবার ফিফটি পাওয়া আফিফের ৮৩ বলের ইনিংসে ছক্কা ৩টি। আবাহনীর হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। পরে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই অলরাউন্ডার।
রান তাড়ায় সিটি ক্লাব ৪০.৫ ওভারে ১৬৫ রানে অলআউট। ৭৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান ইফরান হোসেনের। পাঁচ ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই হারল সিটি।
আবাহনী: ৫০ ওভারে ২১৭/৭ (আফিফ ৬৭*, নাঈম ৫৪; নাঈমুর ৩/৩৪, রনি ২/২৭, সোহেল ২/৪৩)।
সিটি ক্লাব: ৪০.৫ ওভারে ১৬৫ (ইফরান ৩১, মঈনুল ৩০; সাইফউদ্দিন ৩/২০, মোসাদ্দেক ৩/৩৩, নাহিদুল ২/২২, তাসকিন ২/২৩)।
ফল: আবাহনী ৫২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পেল তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ফতুল্লায় আজ তামিমদের ১৮১ রানে অলআউট করে স্কোরটা ২১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে পঞ্চম ম্যাচে চতুর্থ জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন অধিনায়ক তামিমই। ৮৮ বলের ইনিংসে ৬টি চার মারা বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন দলকে ৮৫ রানে রেখে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে। তামিমের পর প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান অলক কাপালির। আটে নামা অলক ৪৪ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৩টি করে চার-ছক্কা। প্রাইম ব্যাংক ১৩০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর জাতীয় দলের পেসার হাসান মাহমুদকে নিয়ে দশম উইকেটে ৫১ রান যোগ করেন অলক। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া হাসান করেছেন ২২ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলা গাজীর মিডিয়াম পেসার আবদুল গাফফার ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
রান তাড়ায় ৪ উইকেট হারালেও গাজীর হয়ে ব্যাট করেছেন ৮ জন। দলটির সর্বোচ্চ স্কোরার সাব্বির শিকদার (৬৪) ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার মাহফুজুর রহমান (২৮) পানিশূন্যতায় ক্র্যাম্পে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
প্রাইম ব্যাংক: ৪৯.১ ওভারে ১৮১ (তামিম ৫৪, অলক ৪৭*; গাফফার ৪/২৪, মঈন ২/২৩, পারভেজ ২/২৬)।
গাজী গ্রুপ: ৪৬.৩ ওভারে ১৮৪/৪ (সাব্বির ৬৪*, মাহফুজুর ২৮*, প্রিতম ২৬; আশিকুর ১/২৫)।
ফল: গাজী গ্রুপ ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আবদুল গাফফার।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ টাইগার্স করেছিল ৯ উইকেটে ২২৮ রান। রানটা ৪৪.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই পেরিয়ে যায় শেখ জামাল ধানমন্ডি। পঞ্চম ম্যাচে চতুর্থ জয় পাওয়া দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান ওপেনার সাইফ হাসানের। এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব করা সাইফের ৬৯ বলের ইনিংসে চার ৭টি, ছক্কা ৩টি। এ ছাড়া ফজলে রাব্বি ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৮৪ রানের অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে ফজলের সঙ্গী ইয়াসির আলী অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান করেছেন ৩৪ রান। সাকিব এর আগে বল হাতে ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।
এর আগে টাইগার্সের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছেন আটে নামা সালমান হোসেন। ১৮তম ওভারে টাইগার্স ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর উইকেটে আসা সালমানের ৮৭ বলের ইনিংসে ছক্কা ৩টি। ৯৮ রানের সপ্তম উইকেট জুটিতে তাঁর সঙ্গী আসাদুল্লাহ আল গালিব করেছেন ৫১ রান।
রূপগঞ্জ টাইগার্স: ৫০ ওভারে ২২৮/৯ (সালমান ৬৭, আসাদুল্লাহ ৫১, আল মামুন ৩০; জিয়া ৩/৩৫, রিপন ৩/৫৫)।
শেখ জামাল ধানমন্ডি: ৪৪.৩ ওভারে ২২৯/৪ (সাইফ ৬৯, ফজলে ৬২, ইয়াসির ৪১, সাকিব ৩৪; হাশিম ২/৩৫)।
ফল: শেখ জামাল ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফজলে রাব্বি।