জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড—কী ভয়ংকর এক ফাস্ট বোলিং জুটিই না ছিল! এ জুটি কদিন আগেও ভয়ের ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দিত বিশ্বের তাবৎ ব্যাটসম্যানের শিরদাঁড়া দিয়ে। সেই জুটি ভেঙে গেছে। সর্বশেষ অ্যাশেজ সিরিজের পর সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন ব৶ড।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ অ্যাশেজে ঘরের মাঠে অসাধারণ বোলিং করেছেন ব্রড। ৩৭ বছর বয়সী ইংলিশ ফাস্ট বোলার ছিলেন সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। নিজের শেষ ডেলিভারিতেও নিয়েছেন উইকেট, আউট করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারিকে।
অন্যদিকে সর্বশেষ অ্যাশেজে অ্যান্ডারসন ছিলেন অনেকটাই ম্লান। যে ৪টি ম্যাচ খেলেছেন, তাতে ৮৫.৪০ গড়ে নিয়েছেন মাত্র ৫ উইকেট। বয়স হয়ে গেছে ৪১ বছর। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ সিরিজে পারফরম্যান্সও তেমন ভালো নয়। তাহলে কি আরও খেলবেন অ্যান্ডারসন?
নিজের সাবেক সতীর্থকে নিয়ে এখনো উচ্ছ্বসিত ব্রড। এই ৪১ বছর বয়সেও অ্যান্ডারসনের যে ফিটনেস এবং উইকেট–ক্ষুধা, তিনি এখনই ক্রিকেট ছাড়বেন না বলেই মনে করেন ব্রড। এ ছাড়া অ্যান্ডারসনকে হাতছানি দিচ্ছে ৭০০ উইকেটের মাইলফলক। সেটা শিগগিরই তিনি পূর্ণ করবেন, ব্রডের আশা এ রকমই। টেস্টে ৭০০ উইকেটের মাইলফলকে এর আগে দুজন পা রেখেছেন—শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০) ও শেন ওয়ার্ন (৭০৮)।
১৮৩ টেস্টে ৬৯০ উইকেট পাওয়া অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ব্রড বলেছেন, ‘এখনো তার কিছু উইকেট নেওয়ার আছে। আমি জানি, তাকে টেস্টে ৭০০ উইকেট হাতছানি দিচ্ছে। অসাধারণ এই ক্লাবে যোগ দিতে পারাটা হবে দারুণ। আমরা সবাই আশা করি, সে এটা পারবে।’
অ্যান্ডারসনের ফিটনেস নিয়েও উচ্ছ্বসিত ব্রড, ‘তার বয়স এখন ৪১ বছর। এখনো সে দারুণ খেলছে। শারীরিকভাবে এখনো সে খুব ভালো অবস্থায় আছে। সে এখনো খেলাটা উপভোগ করে আর ভালো করার তাড়নাটা আছে।’
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতে যাবে ইংল্যান্ড। ২০১২ সালের পর ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পূরণে অ্যান্ডারসন বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন বলেই মনে করেন ব্রড। ভারতের মাটিতে ১৩ টেস্ট খেলে ২৯.৩২ গড়ে ৩৪ উইকেট পেয়েছেন অ্যান্ডারসন। দেখা যাক, এবার দলে থাকলে সেখানে কী করতে পারেন।