বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল

তামিমের দুই সপ্তাহের অপেক্ষা

লন্ডনে মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞ টনি হ্যামন্ডের কাছে চিকিৎসা নিয়ে আজই দেশে ফিরছেন তামিম ইকবাল। সব ঠিক থাকলে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকায় নামবেন জাতীয় দলের এই ওপেনার।

দীর্ঘদিন ধরেই তামিম যে কোমরের সমস্যায় ভুগছিলেন, লন্ডনে এবার তিনি সেটারই চিকিৎসা করিয়ে আসছেন। তাঁর সমস্যা মেরুদণ্ডের কোমরের দিকের অংশে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যে অংশটিকে বলা হয় L-4 ও L-5। অস্ত্রোপচার করালে তামিমকে তিন–চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হতো।

এরপরও যে তিনি পুরোপুরি চোটমুক্ত হতেন, তার নিশ্চয়তা ছিল না। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে তামিম স্বাভাবিকভাবেই সে পথে যাননি। তিনি দেশে ফিরছেন লন্ডনে দুই দফা ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে।

দেশে ফেরার পর আগামী এক সপ্তাহ পুরোপুরি বিশ্রামে থাকবেন তামিম। পরের এক সপ্তাহ একটু একটু করে ফিটনেস এবং পুনর্বাসনের কাজ করবেন। এই কাজটা কী প্রক্রিয়ায় হবে, হ্যামন্ডের পরামর্শমতো সেটি ঠিক করে দেবেন বিসিবির চিকিৎসক ও ফিজিও–ট্রেনাররা।

বিশ্রাম এবং বিশ্রাম–পরবর্তী কয়েক দিন যদি তামিম ব্যথামুক্ত থেকে পার করতে পারেন, তাহলে আশা করা যায়, আগামী ১২ থেকে ১৪ দিন পর তিনি পুরোপুরি অনুশীলনে ফিরতে পারবেন।

তবে ব্যথানাশক ইনজেকশন কত দিন তামিমকে ব্যথামুক্ত রাখতে পারবে, সে নিশ্চয়তা নেই।

এর মেয়াদ হতে পারে এক থেকে তিন–চার মাস পর্যন্ত। তবে এর আগেই যদি তিনি আবার কোমরে সমস্যা অনুভব করেন, সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দিতে হবে অনুশীলন। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে আরেকটি ইনজেকশনের।

কোমরে ব্যথা থাকলেও সেটা তামিম ব্যাটিংয়ের জন্য ঝুঁকলেই বেশি অনুভব করেন। দৌড়ানো বা অন্য কিছুতে ব্যথা তেমন অনুভূত হয় না। এ ছাড়া হ্যামন্ডের কাছে ইনজেকশন নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত তিনি ভালো বোধ করছেন বলেই জানা গেছে।