ব্যাটিংয়ে বাবর– রিজওয়ানের অভাবটা ভালোভাবেই টের পেল পাকিস্তান। শাদাব খানের দল শারজায় বোলিং সহায়ক কন্ডিশনে আগে ব্যাট করে গুটিয়ে গেল মাত্র ৯২ রানে। এত কম পুঁজি নিয়ে পাকিস্তানের বোলাররা লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত হেরেছে ৬ উইকেটে।
টি–টোয়েন্টি তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি আফগানিস্তানের প্রথম জয়। এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানরা।
৯৩ রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ অনেকটা জমিয়েই তুলেছিল পাকিস্তানের বোলাররা। ৪৫ রানেই আফগানদের প্রথম ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল পাকিস্তান। তবে এরপর মোহাম্মদ নবী ও নজিবউল্লাহ জাদরানের ৫৩ রানের জুটি আফগানিস্তানকে জয় এনে দেয়। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৮ রান করে ম্যাচসেরা নবী।
নজিবউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ১৭ রান করে। পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার এহসানউল্লাহ নেন ২ উইকেট।
এর আগে শারজায় টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে। যার শুরুটা হয় মোহাম্মদ হারিসকে দিয়ে। দলীয় ১৭ রানে ব্যক্তিগত ৬ রান করে ফজলহক ফারুকির বলে আউট হন হারিস।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা আব্দুল্লাহ শফিক আউট হয় শূন্য রানেই। অভিষিক্ত সাইম আইয়ুব বড় ইনিংস খেলার স্বপ্ন দেখালেও ১৫ বলে ১৭ রান করে নাভিন–উল–হকের বলে বোল্ড হয়েছেন। আরেক অভিষিক্ত তায়েব তাহির করেছেন ১৬ রান। এরপর আজম খানও বিদায় নিলে ৪১ রানেই ৫ উইকেট হারায় শাদাব খানের দল।
শাদাব আর দলে ফেরা ইমাদ ওয়াসিম জুটি গড়ার চেষ্টা করেও সফল হননি। মুজিব উর রেহমানের বলে ১২ রান করে আউট হন শাদাব। ইমাদ আউট হয়েছেন ১৮ রান করে। ফজলহক ফারুকি ও মুজিব উর রেহমান দুটি করে উইকেট নেন।