জাতীয় লিগের পঞ্চম রাউন্ডের চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিই শেষ তৃতীয় দিনে। পেসারদের দাপট ছিল সেই তিন ম্যাচেই। ইমরুল কায়েসের শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তাঁর দল খুলনা বিভাগকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে সিলেট বিভাগ জিতেছে ইনিংস ব্যবধানে। ৯ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় দিন থেকেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল ঢাকা বিভাগ। খুলনা বিভাগকে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে কাল মাত্র ৯১ রানে অলআউট করলে জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে ঢাকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৪ রান, যা আজ তৃতীয় দিন সকালের সেশনেই ১ উইকেট হারিয়ে সে রান টপকে যায় ঢাকা। রনি তালুকদার ৫৪ বলে অপরাজিত ৬২ রান করেন, আরিফুল ইসলাম ৪৫ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে খুলনা তাদের প্রথম ইনিংসে ১৭২ রান করে। প্রথম ইনিংস ভালো হয়নি ঢাকারও। ১৬০ রানে অলআউট হয় দলটি। পিছিয়ে থেকেও বোলারদের সৌজন্যে ঘুরে দাঁড়ায় শুভাগত–মোসাদ্দেকরা। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটসহ ম্যাচে ৮ উইকেট নেওয়া ঢাকার পেসার সুমন খান ম্যাচসেরা হয়েছেন। এ ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ইতি টানা ইমরুলকে ম্যাচ শেষে বিসিবির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পেস বোলারদের প্রতিযোগিতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে জায়গা হয়নি খালেদ আহমেদের। তবে জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দারুণ বোলিং করছেন। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে খালেদের সেরাটা দেখা গেল। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়ে মহানগরকে ১৩০ রানে অলআউট করতে সাহায্য করেন। সিলেট তাদের প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক অমিত হাসানের সেঞ্চুরিতে ৩৭৬ রান করে।
গতকাল দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ২৪৬ রানে পিছিয়ে থাকা মহানগরকে আরও একবার ব্যাটিংয়ে পাঠায় সিলেট। খালেদের দাপটের শুরু তখন থেকেই। গতকালই ২ উইকেট নেওয়া খালেদ আজ যোগ করেছেন ৩ উইকেট। এটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খালেদের অষ্টম ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়া আরেক পেসার রেজাউর দ্বিতীয় ইনিংসেও সমানসংখ্যক উইকেট নিয়েছেন। দুই পেসারের সৌজন্যে ১০৭ রানে অলআউট হয় মহানগর। তাতে ইনিংসও ১৩৯ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে সিলেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন ১০১ রান করা অমিত।
ঘরের মাঠ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগ তাদের দুই পেসার ফাহাদ হোসেন ও আহমেদ শরীফের সৌজন্যে রাজশাহীর বিপক্ষে সহজ জয়ের মঞ্চ পেয়ে যায়। ফাহাদ প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিলে ১১২ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। চট্টগ্রাম তাদের প্রথম ইনিংসে শামীম হোসেনের ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে ২৫২ রান করলে চাপে পড়ে রাজশাহী। দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামের আরেক পেয়ার আহমেদ শরীফ ৫ উইকেট নিলে ২২০ রানে থামে রাজশাহী। আজ চট্টগ্রাম চতুর্থ ইনিংসে ৮১ রানের লক্ষ্য ১ উইকেট হারিয়ে টপকে যায়। ম্যাচসেরা হয়েছেন শরীফ।
প্রথম ইনিংসে ৭০ রান করে আউট হয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রানে অপরাজিত বরিশালের ওপেনার ইফতেখার হোসেন। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে ইফতেখারের সৌজন্যে বরিশাল এগিয়ে আছে ১৩৩ রানে। প্রথম ইনিংসে বরিশালের ৩৩৬ রানের জবাবে আজ ৩২২ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। ১৪ রানের লিড পাওয়া বরিশাল আজ দিন শেষে করেছে ১ উইকেটে ১১৯ রান। আবদুল মজিদ ৫২ রানে আউট হলেও ইফতেখার অপরাজিত আছেন।