৪ উইকেট পেয়েছেন নাহিদ রানা
৪ উইকেট পেয়েছেন নাহিদ রানা

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

মিরপুরে রানা-রিশাদের দাপট, বিকেএসপিতে শেষ ওভারের রোমাঞ্চ

টানা দুই জয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে উঠে এসেছে শাইনপুকুর। মিরপুরে আজ জাতীয় দলের দুই বোলার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানার দারুণ বোলিংয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে উড়িয়ে দিয়েছে আকবর আলীর দল। বিকেএসপিতে দুটি ম্যাচের মধ্যে পারটেক্স ও সিটি ক্লাবের ম্যাচটি ছিল রোমাঞ্চকর। শেষ ওভারে যাওয়া ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতেছে সিটি ক্লাব। পাশের মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে সহজে হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স।

রানা ও রিশাদের ৪ উইকেট, শাইনপুকুরের জয়

আকাশ মেঘলা। উইকেটেও তেমন গতি নেই। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ম্যাচটায় আগে ব্যাটিং করা দল দুই শ’র বেশি রান করতে পারলেই মনে হচ্ছিল ম্যাচটা জমে উঠবে। শাইনপুকুর অবশ্য সেই তুলনায় খারাপ করেনি। বৃষ্টির কারণে ছোট হয়ে আসা ৪৩ ওভারের ম্যাচে ৮ উইকেটে ২৪২ রান করে দলটি। তিনে নামা খালিদ হাসান ৯৯ বলে ৬৩ রান করেছেন। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর ইনিংসের শেষ বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেছেন শাইনপুকুর ইনিংসের সর্বোচ্চ ৮৪ রান (৭৫ বল)। ৮টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তাতে। গাজীর পেসার রুয়েল মিয়া নিয়েছেন ৩ উইকেট।

৮৪ রান করে ম্যাচসেরা ইরফান শুক্কুর

গাজীর ইনিংস দীর্ঘ হতে দেননি জাতীয় দল থেকে ফেরা ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা। ৯ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে গাজীর ব্যাটিংয়ে ধস নামান তিনি। ৪ উইকেট নিয়েছেন জাতীয় দলের লেড়গ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ৭ ওভারে ৩০ রান দিয়েছেন। দুজনের সৌজন্যে ১৬১ রানে থামে গাজীর ইনিংস। গাজীর ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শাইনপুকুর: ৪৩ ওভারে ২৪২/৮ (ইরফান ৮৪, খালিদ ৬৩; রুয়েল ৩/৪৮, মঈন ২/৪১)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৩৫ ওভারে ১৬১/১০ (সাব্বির ৩৩; রানা ৪/৫৪, রিশাদ ৪/৩০)
ফল: শাইনপুকুর ৮০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইরফান শুক্কুর।

শেষ ওভারে জিতল সিটি

পাশের মাঠে আগে পারটেক্সের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে সিটি ক্লাব। পারটেক্সের ৯ উইকেটে ২০৮ রান শেষ ওভারে পেরিয়েছে দলটি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য সিটি ক্লাবের দরকার ছিল ৬ রান, হাতে ছিল ২ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন মঈনুল ইসলাম ও নাঈমুর রহমান। এই দুই নিচের সারির ব্যাটসম্যানের সৌজন্যে মুক্তার আলীর করা শেষ ওভারের প্রথম ৪ বলেই সে রান টপকে যায় সিটি ক্লাব। ২ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় পায় দলটি। সিটি ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ বলে ৪৪ রান করেছেন আশিকুল ইসলাম।

ম্যাচসেরা নাঈমুর রহমান

এর আগে পারটেক্সকে ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ১৮ বলে ৩২ রান করে ভালো শুরু এনে দেন। তবে পারটেক্সের রানটাকে দুই শ’র ওপারে নিয়েছেন ৬৬ বলে ৬৯ রান করা তানভীর হায়দার। ১০টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে। সিটি ক্লাবের নাঈমুর রহমান সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন। পরে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৫ রান করা নাঈমুরই হয়েছেন ম্যাচসেরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পারটেক্স: ৪২ ওভারে ২০৮/৯ (তানভীর ৬৯, মুনিম ৩২, মুক্তার ২৮; নাইমুর ৩/৪৩, মেহেদী ২/৪৮, আশিকুল ১/৬)
সিটি ক্লাব: ৪১.৪ ওভারে ২১০/৮ (আশিকুল ৪৪, সাদিকুর ৩৯, শাহরিয়ার ৩১; রাকিবুল ৩/৩৬, আসাদুজ্জামান ২/৩৭, গাফফার ১/৩০)
ফল: সিটি ক্লাব ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাঈমুর রহমান।

রূপগঞ্জ টাইগার্সের প্রথম জয়

ম্যাচসেরা রোহনাত

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে দিনের আরেক ম্যাচে ব্রাদার্সকে ৩১ রানে হারিয়েছে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে রূপগঞ্জ টাইোর্স। ৩৯.১ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৪৯ রান করে অলআউট হয় রূপগঞ্জ। অধিনায়ক শামসুর রহমান দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৮০ বলে ৫৭ রান করেন। জবাবে ব্রাদার্স অলআউট ১১৬ রানে। রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আবু হাশিম। তবে ব্যাট হাতে ২১ রান ও বল হাতে ২ উইকেট নেওয়া রোহনাত দৌল্লাহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রূপগঞ্জ টাইগার্স: ৩৯.১ ওভারে ১৪৯/১০ (শামসুর ৫৭; মনির ৩/১৯, নাঈম ২/৩১, রাহাতুল ২/২৬)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৩৯.১ ওভারে ১১৬/১০ (মজিদ ২৮, ইমতিয়াজ ২২; হাশিম ৪/২৬, রোহনাত ২/১৭)
ফল: রূপগঞ্জ টাইগার্স ৩১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রোহনাত দৌল্লাহ।