ভারতকে ফাইনালে তোলার পথে কাল মুম্বাইয়ে একগাদা রেকর্ড গড়েছেন মোহাম্মদ শামি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট; যা ওয়ানডেতে কোনো ভারতীয়র সেরা বোলিং ফিগার তো বটেই, বিশ্বকাপের নকআউট পর্বেরও সেরা।
শুধু কি তা–ই? বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চারবার পাঁচ উইকেট নেওয়ারও কীর্তি গড়েছেন শামি। এবারের আসরে ২৩ উইকেট নিয়ে এই মুহূর্তে তিনিই সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক।
এককথায়, শামির বিধ্বংসী বোলিং গোটা ভারতকেই গর্বিত করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে ৩৩ বছর বয়সী পেসারকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।
এবার তাঁকে নিয়ে ‘মিম যুদ্ধে’ মজেছে ভারতের বৃহত্তম দুই শহর মুম্বাই ও দিল্লির পুলিশ। পরে তাতে যোগ দিয়েছে বিশ্বকাপ ফাইনালের শহর আহমেদাবাদের পুলিশও। তিন শহরের পুলিশের একের পর এক পোস্টে নেট–দুনিয়ায় শোরগোল পড়েছে।
শুরুটা করেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির পুলিশ। শামি কাল যে শহরে নতুন কীর্তি গড়েছেন, সেই মুম্বাই পুলিশকে উদ্দেশ্য করে লিখেছে, ‘আশা করি হামলা চালানোয় (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বংসী বোলিং করায়) আপনারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন না।’
সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয় মুম্বাই পুলিশ। তারা লেখে, ‘আরে, আপনারা তো অসংখ্য মানুষের হৃদয় চুরির অভিযোগ আনার কথা ভুলেই গেছেন। শুধু মোহাম্মদ শামিই নয়, আরও দুজন এ অপরাধে যুক্ত।’ শামি ছাড়া বাকি দুজন বলতে হয়তো বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারকে বোঝাতে চেয়েছে মুম্বাই পুলিশ। কাল দুজনই শতক করেছেন।
পুরো লেখাটিতেই যে রসিকতা করা হয়েছে, পোস্টের শেষে মুম্বাই পুলিশ এও জানিয়েছে, ‘প্রিয় নাগরিকগণ, আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে দুই রাজ্যের পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধি সম্পর্কে অবগত। আর আপনাদের উপস্থিত বুদ্ধিতেও আমাদের সম্পূর্ণরূপে আস্থা রয়েছে।’
এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন মুম্বাই পুলিশের বিশেষ কমিশনার দেবেন ভারতীও। শামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের কিংবা তাঁকে আটক করা যাবে কি না, দিল্লি পুলিশের এই প্রশ্নে দেবেন লিখেছেন, ‘একদমই নয়। আত্মরক্ষা অধিকার আইনের আওতায় তাকে কোনোভাবেই আটক করা যায় না।’
মিমের লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই আহমেদাবাদ পুলিশও। আগামী রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। মুম্বাই পুলিশ আহমেদাবাদ পুলিশের অফিশিয়াল পেজ ট্যাগ করে লেখে, ‘বিজয় রথে চড়তে তোমরা প্রস্তুত তো? এবার ফাইনালের অপেক্ষা। আহমেদাবাদের পথে রওনা দিয়েছে সেটি।’ এর উত্তরে আহমেদাবাদ পুলিশ লেখে, ‘আমরা প্রস্তুত।’
ভারতের তিন শহরের পুলিশের এই রসিকতায় সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘শামিকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত রেহাই দিন। তার আরেকটি বড় ডাকাতি করা বাকি আছে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘হাস্যরসের সর্বোচ্চ পর্যায়।’