মিকি আর্থার কথাটা বলায় যেন তাঁর বিপদ আরও বাড়ল। এমনিতেই দলের সঙ্গে সব সময় না থাকার জন্য পাকিস্তানের এই ক্রিকেট পরিচালককে প্রায়ই সমালোচনা শুনতে হয়।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা পান থেকে চুন খসলেই তাঁর সমালোচনা করেন। গতকাল ভারতের কাছে বড় হারের পর আর্থারের ‘বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট’ মনে হওয়ার সেই বক্তব্য মোটেই পছন্দ হয়নি ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব মালিকদের। আর্থারের কাছে অমন কোনো মন্তব্য শুনতে চান না তাঁরা। কেন পাকিস্তানের এই দুর্দশা, জানতে চান তার কারণ।
এবারের বিশ্বকাপ কাভার করতে এখনো পাকিস্তানের ভিসা পাননি পাকিস্তানের সাংবাদিকেরা। ভারতের ভিসা পাননি সমর্থকেরাও। এ নিয়ে আইসিসির দরবারে হতাশা প্রকাশ করলেও, এখনো কোনো সমাধান মেলেনি।
গতকাল আহমেদাবাদে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শকই তাই ছিল ভারতের পক্ষে। খেলা দেখতে মাঠে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া পাকিস্তানিদের সংখ্যা ছিল না বললেই চলে। এমনকি টসের সময় দুয়ো শুনতে হয়েছে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে। মাঠের এমন আবহ খুব একটা ভালো লাগেনি আর্থারের। যে কারণে তিনি ম্যাচ শেষ বলেছেন, ‘সত্যি বলতে কী, এটি দেখে ঠিক আইসিসি ইভেন্ট মনে হয়নি। মনে হয়েছে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ, মনে হয়েছে বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট। আজ রাতে লাউড স্পিকারে “দিল দিল পাকিস্তান” খুব একটা শুনিনি।’
আর্থারের এমন মন্তব্য শুনে স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ‘ভাইয়া, এসব শুনতে চাই না। আপনারা কুলদীপকে খেলার জন্য কী পরিকল্পনা করেছিলেন, সেটা শুনতে চাই।’
পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মঈন খান বলছেন, আর্থার এমন মন্তব্য করছেন বড় এই হারের দিক থেকে দৃষ্টি সরাতে। একই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘মানুষের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে। এমন হারের পর এত মানুষের মন ভেঙে গেছে, আর আপনি আবেগতাড়িত করে চিন্তাভাবনাকে অন্যদিকে সরিয়ে দিচ্ছেন। ওনার যেটা কাজ, সেটা নিয়েই আলোচনা করা উচিত। একজন কোচ হিসেবে তাঁর এই কথা বলা ঠিক হয়নি।’
শোয়েব মালিক আবার বাকি দুই আলোচকের চেয়ে ভিন্ন কথা বলেছেন। পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার বলছেন, ভারতের কাছ থেকে এগুলো পাকিস্তানের শেখা উচিত, ‘আমার মনে হয়, আমাদের ভারতের প্রশংসা করা উচিত। তাদের কাছ থেকে শেখা উচিত। যখন আমরা কোনো কিছু আয়োজন করব, তখন যেন আমরাও এগুলো কাজে লাগাতে পারি।’