ট্রফি হাতে তোলার স্বপ্ন দেখা দলের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়—ব্যাপারটা হজম করা কষ্টকর। এখন যে কষ্টটা হচ্ছে পাকিস্তানের ভক্ত-সমর্থক ও সাবেক ক্রিকেটারদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নেমে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাবর আজমদের। সাধারণত এ ধরনের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর দলের মধ্যে বড়সড় পরিবর্তন আনা হয়। কেউ বরখাস্ত হন, কেউ বাদ পড়েন।
এবারও তেমন কিছুই ঘটতে যাচ্ছে বলে ধারণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজের। তবে সেটা প্রকাশ করতে গিয়ে ভিন্নধর্মী শব্দই ব্যবহার করেছেন তিনি। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দল এবং আসন্ন ঈদুল আজহাকে মিলিয়ে বলেছেন, কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত হয়ে গেছে।
গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে হেরেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। যা নিশ্চিত হয় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ায়। ‘এ’ গ্রুপ থেকে যথাক্রমে ৬ ও ৫ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটে জায়গা করেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের কাছে হারের পরই পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বিশ্বকাপের পর দলে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘মেজর সার্জারি’ দরকার।
বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পর হাফিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টেও উঠে এসেছে প্রসঙ্গটি। হ্যাশট্যাগ ‘পাকিস্তানক্রিকেট’ লিখে হাফিজের পোস্ট, ‘কোরবানি কা জানোয়ার হাজির হো.(কোরবানির পশু এসে গেছে)’। লেখার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ছয়টি ছাগল বা ভেড়ার ইমোজি, সঙ্গে আরও আছে বোঝানোর জন্য বেশ কয়েকটি ডট চিহ্ন।
বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তানের বিদায়ের পর খেলোয়াড়দের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন আরেক সাবেক ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ।
পাকিস্তান দলে গ্রুপিংয়ের অভিযোগ তুলে জিও নিউজের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘৪-৫ বছর ধরে বাবর আজম, শাহিন আফ্রিদি, ফখর জামান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস রউফ, এরা নিয়মিত খেলছে। তাদেরকে পারফর্ম করার জন্য প্রচুর সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু “গ্রুপিং”–এর কারণে তারা একে অপরের পাশে দাঁড়ায় আর বলে “আমরা ভুল থেকে শিখছি”। আপনারা আসলে কী শিখছেন? রান রেট বাড়ানোর জন্য কানাডার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জেতার দরকার ছিল। কিন্তু রিজওয়ান মন্থর একটা ফিফটি করল। বাবরও খেলল ধীরে ধীরে। পাকিস্তানের ক্রিকেট ব্যক্তিগত মাইলফলকের জন্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’
অধিনায়ক বাবরের নেতৃত্বেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন শেহজাদ, ‘আপনি নেতৃত্বের কথা বলেন। কিন্তু নেতৃত্বের কিছুই তো নেই। আপনি তো সোশ্যাল মিডিয়া কিং। উন্নতির জন্য ৪-৫টা বছর পেলেন, কিন্তু কিছুই জিততে পারলেন না। আপনার ফিটনেস লেভেলও মানসম্মত নয়। আপনারা দলের মধ্যে রাজনীতি করছেন। আপনারা নিজেদের সেরা ক্রিকেটও খেলছেন না, বরং অবনতি ঘটছে।’