এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগের হয়ে খেলছেন শামসুর রহমান
এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগের হয়ে খেলছেন শামসুর রহমান

শামসুরের ২১তম শতক, সৈকত ও গালিবের ৫ উইকেট

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২১তম শতক পেয়েছেন শামসুর রহমান। জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ১৬০ রানের ইনিংস খেলেন সিলেট বিভাগের হয়ে খেলা এই ব্যাটসম্যান। একই ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন রংপুরের পেসার আসাদুল্লাহ গালিব।

সিলেটের মাটিতে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের মিডিয়াম পেসার সৈকত আলীও।

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগের শামসুর প্রথম দিন শেষেই ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাঁর দলের রান ছিল ৪ উইকেটে ২৬৭। আজ দ্বিতীয় দিনে নিজের ইনিংসকে তিন অঙ্কে পরিণত করে দলকেও বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান ৩৫ বছর বয়সী শামসুর।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ৬টি টেস্ট খেলা এই ডানহাতি নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ২৫২ বলে ১৬০ রান তোলেন। তাঁর ইনিংসটিতে ছিল ১৫টি চার ও ২টি ছয়। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে এটি শামসুরের ২১তম প্রথম শ্রেণির শতক। তাঁর চেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির শতক আছে নাঈম ইসলাম (৩১), তুষার ইমরান (২৯), মুমিনুল হক (২৪), মার্শাল আইয়ুব (২৪) ও এনামুল হকের (২৩)।

১৫০ ছাড়ানো ইনিংস খেলা শামসুরসহ সিলেটের ৫টি উইকেট তুলে নেন রংপুরের গালিব। ২১ বছর বয়সী এই পেসারের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয় ৫ উইকেট এটি।
সিলেট বিভাগকে ৪১৫ রানে অলআউট করার পর ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। খালেদ আহমেদ ও আবু জায়েদের পেসে ১১৪ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়েছে রংপুর বিভাগ। খালেদ ৩৯ রানে ৩টি, জায়েদ ২২ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে চলা রাজশাহী বিভাগ-চট্টগ্রাম বিভাগের ম্যাচে দুই দলই তাল মিলিয়ে রান তুলছে। প্রথম দিনের ৮ উইকেটে ৩০৯ রানের সঙ্গে আর কোনো রান যোগ না করেই অলআউট হয় রাজশাহী বিভাগ। দুটি উইকেটই তুলে নিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন সৈকত।

চট্টগ্রাম বিভাগ দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৩০৯ রান তুলে। মুমিনুল হক ৮৮ ও পারভেজ হোসেন ৫২ রান করে আউট হন।

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে চলা খুলনা বিভাগ-বরিশাল বিভাগ ম্যাচ তৃতীয় দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে। খুলনা বিভাগকে ১৪২ রানে অলআউট করে দেওয়া বরিশাল বিভাগ প্রথম ইনিংসে ২২১ রানে গুটিয়ে গেছে। ৭৯ রানে পিছিয়ে খুলনা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১২২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। দ্বিতীয় দিন শেষে খুলনা বিভাগের লিড মাত্র ৪৩ রানের।