বুলাওয়েতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পায়নি জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে স্বাগতিকেরা। পাকিস্তানের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্যে তাড়ায় জিম্বাবুয়ের ৮ ব্যাটসম্যানই পারেননি দুই অঙ্ক ছুঁতে।
ব্যাট হাতে এমন দুর্দশার পর ম্যাচ জেতাটা আকাশকুসুম কল্পনায় বটে, পারেনি জিম্বাবুয়েও। ম্যাচ হেরেছে ৫৭ রানে। এ জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। এই ম্যাচে হাতবদল হয়েছে টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির রেকর্ড।
টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় টস হারা জিম্বাবুয়ের জন্য লক্ষ্যটা বড় ছিল না। চেনা পরিবেশে নিজেদের সেরাটা খেললেই ১৬৬ রান তাড়া করা কঠিন কিছু না। তবে তৃতীয় উইকেটে তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও অধিনায়ক সিকান্দার রাজার ৩৩ বলে ৫৯ রানের জুটি বাদ দিলে, জিম্বাবুয়ের আর কোনো জুটিই দাঁড়ায়নি।
এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও এ দুজন ছাড়া আর কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৫.৩ ওভারে অলআউট হয়েছে ১০৮ রানে।
মারুমানি ২০ বলে ৩৩ ও রাজা করেন ২৮ বলে ৩৯ রান। পাকিস্তানের হয়ে আবরার আহমেদ ও সুফিয়ান মুকিম নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। হারিস রউফ নিয়েছেন ২ উইকেট। এই ২ উইকেটে নতুন এক রেকর্ডও গড়েছেন হারিস। পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন তাঁর। শাদাব খানের ১০৭ উইকেট টপকে হারিসের উইকেট এখন ১০৯।
এর আগে ব্যাট হাতে আহামরি কিছু করতে পারেনি পাকিস্তানও। তবে টপ অর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট অবদানে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন উসমান খান ও তায়েব তাহির।
অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা তাহির ৩৯ রান করেছেন ২৫ বলে। এ ছাড়া ১৫ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ইরফান খান। সাইম আইয়ুব করেন ২৪ রান। একই মাঠে আগামী ৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে এ দুই দল।