বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে পাকিস্তান। নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা। ওই দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের ১৯টি উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের বোলাররা। এর মধ্যে ১৩টি নিয়েছেন তিন ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও হাসান আলী।
এই তিনজনের মধ্যে হাসান পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৬ উইকেট। যশপ্রীত বুমরা ও ম্যাট হেনরির সঙ্গে এখন পর্যন্ত তিনি যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পেসার শরীফুল ইসলাম ও নেদারল্যান্ডসের বাস ডি লিডি যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
এরপরও বিশ্বকাপে দলের প্রথম দুই ম্যাচে বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি নন পাকিস্তানের সাবেক দুই ফাস্ট বোলার। আকিব জাভেদ তো নতুন বলে হাসান আলীর সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। আর শোয়েব আখতার পাকিস্তান দলের এই বোলারদের ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য কার্যকর মনে করেন না।
আকিব জাভেদ বলেছেন, ‘হাসান আলী, আপনারা যদি ওর রেকর্ডের দিকে তাকান, দেখবেন নতুন বলে কখনোই অসাধারণ কিছু নয়। কোনো দিন শাহিন শাহ আফ্রিদি আটকে গেলে সমস্যা হতে পারে।’
আকিব জাভেদ এখানেই থামেননি। হারিস রউফ আর ওয়াসিম জুনিয়রকে নিয়েও কথা বলেছেন তিনি, ‘ওয়াসিম জুনিয়রের দিকে তাকালে দেখবেন, অনেক ম্যাচ আছে, সে তার ১০ ওভারের কোটাই পূরণ করেনি। প্রথম বদলি বোলার হিসেবে রউফ মানানসই। গতি দিয়ে সে মাঝের ওভার আর ডেথ ওভারে দাপট দেখাতে পারে।’
শোয়েব আখতার পাকিস্তানের বোলিং বিভাগ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন এভাবে, ‘এরা এখনো ওয়ানডের বোলার হয়ে উঠতে পারেনি। ১০ ওভার বোলিং করা ভিন্ন বিষয়। গত বছর আমরা শুধু ১২টি ওয়ানডে খেলেছি।’
হতাশ হলেও পাকিস্তান দলকে সমর্থন জুগিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন শোয়েব আখতার, ‘বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও আমি তাদের সমর্থন করব। আগামী দুই বা তিন ম্যাচে এই বোলিং বিভাগই পারফর্ম করতে শুরু করবে। আমি হতাশাটা বুঝতে পারছি। কিন্তু তাদের ওপর আস্থা হারাচ্ছি না।’