উইকেট নিয়ে এত কথা মনে হয় এর আগে আর কোনো বিশ্বকাপে হয়নি! নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের যে উইকেট নিয়ে এত কথা, সেখানে আজ ধুঁকল নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিং। ধুঁকতে ধুঁকতেই অবশ্য ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৩ রান তুলেছে তারা। এই রান তাড়া করতে নেমে ১২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা!
উঁকি দিতে থাকে প্রোটিয়াদের ডাচ–জুজু। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে—টানা দুটি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে কি আবারও...?
তবে ‘কিলার মিলার’ নামে পরিচিত ডেভিড মিলার সেটা ‘অঘটন’ আর ঘটতে দেননি। ৪ ছক্কা আর ৩ চারে ৫১ বলে ৫৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জেতালেন ৭ বল বাকি থাকতেই। ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে আসরে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল প্রোটিয়ারা।
রান তাড়ার শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে উদ্ধারে মিলারকে সঙ্গ দেন ট্রিস্টান স্টাবস। দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটিতে ওঠে ৬৫ রান। পরে স্টাবস ৩৭ বলে ৩৩ রাস ও মার্কো ইয়ানসেন ৩ রান করে আউট হলেও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মিলার।
এর আগে নেদারল্যান্ডসের পাওয়ার প্লে ব্যাটিংও ভালো হয়নি। প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে তারা উইকেট হারিয়েছে ৩টি, রান মাত্র ২০। তুলতে পেরেছে মাত্র ২০ রান। পাওয়ার প্লেতে তিন পেসার মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা ও ওটনিল বার্টম্যানকে দিয়ে বোলিং করান প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম।
ইয়ানসেন ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট, বার্টম্যান ২ ওভারে ৩ রান দিয়ে ১টি। নিজের শেষ ওভারে আরও ৩ উইকেট নেন বার্টম্যান। সব মিলিয়ে রান দিয়েছেন ১১টি। আনরিখ নর্কিয়া ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ডাচদের পক্ষে ৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট।
নেদারল্যান্ডস: ২০ ওভারে ১০৩/৯ (লেভিট ০,ও’ডাউড ২, বিক্রমজিৎ ১২, এঙ্গেলব্রেখট ৪০, ডি লিডি ৬, এডওয়ার্ডস ১০,নিদামানুরু ০, ফন বিক ২৩, প্রিঙ্গল ০, মিকেরেন ১*; ইয়ানসেন ৪–০–২০–২, রাবাদা ৪–০–২৭–০, বার্টম্যান ৪–০–১১–৪, নর্কিয়া ৪–০–১৯–২, মহারাজ ৪–০–২৪–০)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৮.৫ ওভারে ১০৬/৬ (হেনড্রিকস ৩, ডি কক ০, মার্করাম ০, স্টাবস ৩৩, ক্লাসেন ৪, মিলার ৫৯*, ইয়ানসেন ৩, মহারাজ ০*; কিংমা ৪–১–১২–২, ফন বিক ৪–১–২১–২, মিকেরেন ৪–১–১৩–০, ডি লিডি ৩.৫–০–৩৪–১, প্রিঙ্গল ২–০–১৪–০, বিক্রমজিৎ ১–০–১১–০)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ: ডেভিড মিলার।