সমালোচকদের বোকা বানিয়েছেন ওয়ার্নার
সমালোচকদের বোকা বানিয়েছেন ওয়ার্নার

সমালোচকদের ‘বোকা’ বানিয়ে খুশি ওয়ার্নার

ডেভিড ওয়ার্নার সেরা সময়টা পেছনে ফেলেছেন, একটা সময় এমনই মনে হচ্ছিল। ৩৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারের ওপর বাজি ধরার লোক কমে গিয়েছিল। কিন্তু ওয়ার্নার এবারের বিশ্বকাপে অনেককেই ভুল প্রমাণ করেছেন তাঁর অসাধারণ ব্যাটিং দিয়ে। টানা দুই ম্যাচে তিনি শতরান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার জয়ে রেখেছেন দারুণ অবদান।

বিশ্বকাপের অন্যতম শীর্ষ রান সংগ্রাহক তিনি। ৬৮.৮৩ গড়ে করেছেন ৪১৩ রান। ৪৩১ রান নিয়ে তাঁর আগে আছেন শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক।

ওয়ার্নারের সমালোচনার দিনগুলো এ মুহূর্তে খুব করেই মনে পড়ছে। তিনি যে বাতিল হয়ে গেছেন, এ কথা লিখেছে গণমাধ্যমও। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করতে পারার আনন্দই এ মুহূর্তে তাঁকে ঘিরে রেখেছে, ‘সবাই আমাকে বাতিল করে দিয়েছিল। আমি এবারের বিশ্বকাপে ভালো করেছি। প্রথম ১০ ওভারে আমি যতটা সম্ভব দলকে ভালো শুরু এনে দেওয়ার কাজটা করে যাচ্ছি। সেট হয়ে গেলে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

ওয়ার্নারকে নিয়ে সংশয় ছিল যাঁদের, বিশ্বকাপে নিজের পারফরম্যান্স তাঁদের ভুল প্রমাণ করার জন্যই—এমনটা অবশ্য তিনি মনে করেন না। তবে ব্যাপারটা তিনি উপভোগ করছেন, ‘আমি তো মনে হচ্ছে অনেককেই বোকা বানিয়ে যাচ্ছি।’

বিশ্বকাপে দারুণ খেলছেন ওয়ার্নার

তবে নিজের পারফরম্যান্সে সতীর্থদের অবদান আছে বলেও মনে করেন তিনি, ‘দুর্দান্ত ব্যাপারটা হচ্ছে, আমার সঙ্গে ট্রাভিস হেড আর মিচেল মার্শও খুব ভালো করছে। এতে করে ব্যাটিংয়ের সময় আমার ওপর চাপ থাকে না বললেই চলে। এতে করে প্রতিপক্ষই চাপে পড়ে যাচ্ছে।’

বিশ্বকাপের আগে ওয়ার্নারকে ‘বাতিল’ বলেই ঘোষণা করেছিলেন সমালোচকেরা

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রাভিস হেডের সঙ্গে ওয়ার্নার ১৭৫ রানের একটা দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি গড়েছিলেন। চোট থেকে ফিরে ট্রাভিস হেডের ব্যাটিং ছিল দারুণ। প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ ‘লন্ডভন্ড’ করে দিতে পারেন হেড। ওয়ার্নার হেড সম্পর্কে বলেছেন, ‘সে প্রতিটি বলই ব্যাটের মাঝে লাগায়। এভাবেই সে খেলে। বোলারদের চাপে রাখতে পছন্দ করে সে। এতে করে আমার ব্যাটিং করা সহজ হয়ে যায়। আমি প্রচুর বাজে বল পাই মারার জন্য। আমাদের দুজনের জুটিটা দারুণ জমছে।’

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছিল তারা। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। টানা চার ম্যাচে জিতে এ মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ীরা।

অস্ট্রেলিয়ার পরের ম্যাচ ইংল্যান্ডের সঙ্গে। হতশ্রী ইংলিশরা টানা হারে এ মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার একেবারে নিচে। ওয়ার্নারের ব্যাপারটা মন্দ লাগছে না। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এত খারাপ অবস্থা। অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে উপভোগই করছেন। তবে দলকে সাবধান করে দিয়েছেন ইংলিশদের ব্যাপারে, ‘এই ইংল্যান্ড দলটা কিন্তু বিপজ্জনক। বিশেষ করে তাদের যখন হারানোর কিছু থাকে না। তবে পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তাদের হতাশার মাত্রা আরও বাড়ানো কিন্তু দারুণ হবে।’