প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শক, তবে প্রায় পুরো সমর্থনই ভারতের পক্ষে। খেলা দেখতে মাঠে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া পাকিস্তানিদের সংখ্যা ছিল একেবারেই নগণ্য। এমনকি টসের সময় দুয়ো শুনতে হয়েছে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে। সব মিলিয়ে মাঠের আবহ স্বাভাবিকভাবেই একেবারেই পক্ষে ছিল না পাকিস্তানের। ভারতের বিপক্ষে বড় পরাজয়ের পর এমন কারণকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে না চাইলেও পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার বলেছেন, তাঁর মনে হয়েছে এটা আইসিসির নয় বরং বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট।
এমনিতে এ ম্যাচে তাঁর দলের পারফরম্যান্স ঠিক সাহসী ছিল না বলে মনে করেন আর্থার। সেটির পেছনে মাঠের আবহ কাজ করেছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আর্থার বলেন, ‘দেখুন, আমি যদি বলি (প্রভাব রাখেনি)। সত্যি বলতে কী, এটি দেখে ঠিক আইসিসি ইভেন্ট মনে হয়নি। মনে হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, মনে হয়েছে বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট। আজ রাতে লাউড স্পিকারে “দিল দিল পাকিস্তান” খুব একটা শুনিনি।’
তবে এটিকে ঠিক অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না আর্থার, ‘হ্যাঁ, এটির ভূমিকা ছিল, তবে এটিকে অজুহাত হিসেবে দেখাতে চাই না। কারণ, সবাইকে ওই নির্দিষ্ট মুহূর্তে বাঁচতে হয়, পরবর্তী বলে কী হচ্ছে, কীভাবে ভারতীয়দের বিপক্ষে, ভারতের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে লড়াই করব, সেটিই বড় ব্যাপার ছিল।’
মাঠে এমন একপক্ষীয় পরিবেশ তৈরি করার ব্যাপারটি হওয়া উচিত কি না, সে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে একটা খোঁচাই দিয়েছেন আর্থার, ‘দেখুন, এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারব বলে মনে হয় না। আমি জরিমানা দিতে চাই না।’
অবশ্য এ ম্যাচে অভিজ্ঞতা ঠিক সুবিধার না হলেও আগামী ১৯ নভেম্বরে এ মাঠেই ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন আর্থার, ‘এই ভারত দলটি অনেক, অনেক ভালো একটা ক্রিকেট দল। আমার মনে হয় রাহুল (দ্রাবিড়) ও রোহিত (শর্মা) তাদের বেশ ভালোভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের দেখে বেশ ভালো মনে হচ্ছে। সবকিছুই আছে তাদের। ফাইনালে আবার তাদের সঙ্গে খেলতে মুখিয়ে আছি।’
এমনিতে এ ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে আর্থারের কথা, ‘আমার মনে হয়, আমাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে ঠিক নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি। বড় একটা উপলক্ষ্য যেহেতু, আমাদের আরেকটু নিয়ন্ত্রণ নিতে হতো। আমরা একটু খোলসে ঢুকে গিয়েছিলাম। ২ উইকেটে ১৫৫ থেকে ১৯০-এর আশপাশে গিয়ে অলআউট হয়ে যাওয়া—মোটেও নেওয়া যায় না। ভারতকে কৃতিত্ব দিতে হয়, তারা অনেক ভালো বোলিং করেছে।’