টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলেছে উগান্ডা। শুরুটা ভালো হয়নি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা হেরে গেছে ১২৫ রানে। তবে ম্যাচের ফল ছাপিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলাটাই তাদের কাছে অনেক বেশি রোমাঞ্চের।
সে কারণেই বড় হারের পরও অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের মঞ্চে আমাদের জাতীয় সংগীত শোনা, জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা আমাদের জন্য অনেক স্পেশাল।’ হেরে গেলেও লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিয়েছে উগান্ডা; বিশেষ করে বোলিংয়ে। গড়েছে দারুণ এক কীর্তিও।
আজ প্রথম ১৪ ওভার শেষে বিনা উইকেটে আফগানিস্তান তোলে ১৫২ রান। যেকোনো দলই এ পরিস্থিতি থেকে দলের রান ২২০-২৩০–এ নিয়ে যেতে চাইবে। আর যদি সেই দলে মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা থাকেন, তাহলে তো আরও বড় সংগ্রহের দিকেই চোখ দেওয়ার কথা।
তবে সেখান থেকে ২০ ওভার শেষে আফগানিস্তান তুলতে পারে ৫ উইকেটে মাত্র ১৮৩ রান। ১৫ থেকে ২০—এই ৬ ওভারে আফগানিস্তান রান তুলতে পেরেছে মাত্র ৩১, উইকেট হারিয়েছে ৫টি। সবচেয়ে বড় কথা, এই ৬ ওভারে একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেননি নবীরা। পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন ঘটনা এ নিয়ে ঘটল দ্বিতীয়বার।
এর আগে সর্বশেষ ২০০৯ সালে শেষ ৬ ওভারে বাউন্ডারি না দেওয়ার কীর্তি প্রথমবার গড়েছিল নিউজিল্যান্ড। কলম্বোয় দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৪২ রানের লক্ষ্যে শেষ ৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৫ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য জয় পায় নিউজিল্যান্ড। শেষ ৬ ওভারে একটাও বাউন্ডারি মারতে না পারা শ্রীলঙ্কা ২০ ওভার শেষে তোলে ৯ উইকেটে ১৩৮ রান। হেরে যায় ৩ রানে।
ব্যাট হাতে যদিও নিজের পারফরম্যান্সে উগান্ডার খুশি না হওয়ারই কথা। আফগানিস্তানের ৫ উইকেটে ১৮৩ রানের জবাবে উগান্ডা থেমেছে ৫৮ রানে। পাওয়ারপ্লেতে ২১ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় তারা। এরপর উগান্ডার ব্যাটসম্যানরা শুধু হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছেন।