ইংল্যান্ডের শেষ ৬ ওভারে মাত্র ১১ বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন জনি বেয়ারস্টো। এর মধ্যে শেষ ছয় বলে মাত্র একটি। কে জানে, আর কয়েকটা বল সুযোগ পেলে ইংল্যান্ডের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন সংস্করণে সেঞ্চুরির কীর্তিটা আজই হয়ে যেত কিনা।
বেয়ারস্টোর একটু আক্ষেপের ম্যাচে ইংল্যান্ড কিন্তু মাঠ ছেড়েছে বড় জয় নিয়েই। ম্যানচেস্টারে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৯৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
চার ম্যাচের সিরিজে জস বাটলারের দল এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।
বড় জয়ের ম্যাচটিতে ইংল্যান্ডের নায়ক বেয়ারস্টোই। পঞ্চমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিং করতে নামা এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৬০ বলে অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংস।
বেয়ারস্টোকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন হ্যারি ব্রুক। ৭ ওভারের মধ্যে ৪৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড যখন খোলসে, বেয়ারস্টোও খেলছিলেন দেখেশুনে, তখন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানই ইংল্যান্ডের রানের গতি বাড়ান। বেয়ারস্টোর সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৬৪ বলে গড়েন ১৩১ রানের জুটি।
আগের ম্যাচে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকা ব্রুক আজ খেলেছেন ৩৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংস। যার মধ্যে চার ও ছয় সমান পাঁচটি করে।
টানা দুই ইনিংসে রান করে বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবিটা আরও জোরালো করে তুলেছেন ব্রুকস।
বেয়ারস্টো-ব্রুকের দিনটা অবশ্য গাস অ্যাটকিনসন আর আদিল রশিদেরও কিছুটা। ৩ ওভার বল করে ১৮ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পথে টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক হয়ে গেছেন রশিদ। ৯৭ ম্যাচে এই লেগস্পিনারের উইকেট ৯৮টি, পেছনে পড়ে গেছেন ৮৭ ম্যাচে ৯৬ উইকেট নেওয়া ক্রিস জর্ডান।
বল হাতে রশিদের চেয়েও বেশি সফল ছিলেন অভিষিক্ত অ্যাটকিনসন। ডানহাতি এ পেসার ২.৫ ওভার বল করে ২০ রানে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৯৮/৪ ( বেয়ারস্টো ৮৬*, ব্রæক ৬৭, জ্যাকস ১৯; সোধি ২/৪৪)
নিউজিল্যান্ড: ১৩.৫ ওভারে ১০৩ ( সেইফার্ট ৩৯, ফিলিপস ২২, চাপম্যান ১৫; অ্যাটকিনসন ৪/২০, রশিদ ২/১৮)।
ফল: ইংল্যান্ড ৯৫ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: জনি বেয়ারস্টো।