শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকালের জয়ে কৃতিত্বটা বিশেষভাবে দিতে চাই তানজিম হাসান ও সাকিব আল হাসানকে। তানজিমের ইকোনমি রেট হয়তো বেশি, কিন্তু তিনি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো নিয়েছেন। সময়মতো স্লিপে ফিল্ডার থাকলে উইকেট আরও নিতে পারতেন। বোলাররা মাঝের ওভারগুলোতে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ন্ত্রণ নিতে দেননি, যে কারণে স্কোর বড় হয়নি।
২৮০ রানের লক্ষ্য এ উইকেটে সহজই বলতে হবে। কিন্তু তানজিদকে তাঁর শট নির্বাচন ও টেম্পারামেন্টের দিকে নজর দিতে হবে। নাজমুল তাঁর সামর্থ্য দেখাতে পেরেছেন, সেটি ভালো লেগেছে। সাকিবকে রানে ফিরতে দেখে ভালো লেগেছে। আগে থেকেই জানা ছিল, শ্রীলঙ্কার বোলিং কিছুটা ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’। দিলশান মাদুশঙ্কা ছাড়া শুরুতে উইকেট নেওয়ার মতো তেমন কেউ নেই।
হয়তো বাংলাদেশ আরেকটু বড় ব্যবধানে জিততে পারত, নেট রান রেটের দিকে নজর দিতে গিয়ে সেটি হয়ে ওঠেনি। সাকিব ও নাজমুলই শেষ করতে আসতে পারতেন। বিশ্বকাপে এখন তো লক্ষ্যটাও বদলে গেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পাওয়ার লড়াইয়ে সেই দল আছে দেখে ভালো লাগছে।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ‘টাইমড আউট’ হওয়াটা ম্যাচের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। দলের ওপর আস্থাহীনতা থেকে সাকিব এমন করেছেন কি না, সেটিও প্রশ্ন। অন্যরাও তাঁকে না করতে পারতেন।
আমার ধারণা, সাকিবকেও এই প্রশ্নটা খোঁচাবে—ম্যাথুসের মতো ব্যাটসম্যানকে ওই সময় এভাবে আউট করার দরকার ছিল কি না। অবশ্য এটা সাকিবের সিদ্ধান্ত, ব্যক্তিভেদে তা ভিন্ন হতে পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত মত, দিন শেষে এটি একটি খেলাই। সেই খেলার চেতনাটা থাকল না। দিন শেষে বাংলাদেশ জয় পেলেও ক্রিকেট জিতল না।
গাজী আশরাফ হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক