চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে নাজমুল হোসেনের দল।
সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। আজ কি হবে?
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আকাশ পরিস্কার এবং রৌদ্রজ্জ্বল।
তৃতীয় টি–টোয়েন্টির আমেজের মধ্যে পড়ে নিতে পারেন বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে যখন বাঁহাতি-জট
আরও পড়তে পারেন আবাহনীর অবিশ্বাস্য কীর্তি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ।
সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচেই টস জিতেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। মুদ্রা নিক্ষেপে আজ ভাগ্য সহায় হয়নি। তবে আগে ব্যাটিং পাওয়ায় ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সামর্থ্য যাচাইয়ের সুযোগও পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল টসের সময় জানিয়েছেন, আজ দলে দুটি পরিবর্তন। স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান ও পেসার শরীফুল ইসলামের জায়গায় খেলবেন পেসার তানজিম হাসান এবং বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম।
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
দুই স্পিনার ও তিন পেসারের বোলিং অ্যাটাক।
জিম্বাবুয়েও আজ দলে দুটি পরিবর্তন এনেছে। দলে ঢুকেছেন বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং ফারাজ আকরাম। প্রথম ম্যাচে মাথায় বলের চোট পাওয়া মাসাকাদজা দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেননি। পেস অলরাউন্ডার ফারাজ আকরামের সিরিজে এটাই প্রথম ম্যাচ।
বাদ পড়েছেন রিচার্ড এনগারাভা ও এইনস্লে এনদোলভু।
জয়লর্ড গাম্বি (উইকেটকিপার), ক্রেগ আরভিন, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।
সিরিজে জিম্বাবুয়ের টিকে থাকার লড়াইয়ের এই ম্যাচে টস জিতে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা বলেছেন, ‘নতুন বলটা কাজে লাগাতে চাই। (বলকে) কথা বলাতে চাই।’
বাংলাদেশ: ১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০
পেস অলরাউন্ডার ফারাজ আকরামের করা প্রথম ওভারে একটি করে চার মেরেছেন ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। তবে ওভারের শেষ বলে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছিলেন তানজিদ। রান নিতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন এই বাঁহাতি। ভাগ্য ভালো, লং অনে ফিল্ডিং করা সিকান্দার রাজা বলটা সময়মতো হাতে নিতে পারেনননি।
এই ম্যাচের আগে জিম্বাবুয়ের পেস অলরাউন্ডার ফারাজ আকরামের টি–টোয়েন্টি বোলিং বিশ্লেষণ: ৪ ইনিংসে ৫০ বল করে পেয়েছেন ১ উইকেট। ইকোনমি ১০.৩২।
বাংলাদেশ: ২ ওভারে বিনা উইকেটে ১২ রান।
উইকেট থেকে বল তুলছেন জিম্বাবুয়ে পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি। এই ওভারে মাত্র ২ রান দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ১ উইকেটে ২৩
মুজারাবানির করা চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে স্কুপ খেলতে গিয়ে ব্যাটে পাননি লিটন। কুৎসিত আউট! ১৫ বলে ১২ রানে ফিরলেন।
লিটনের রানখরা আরও দীর্ঘায়িত হলো।
বাংলাদেশ: ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩২ রান।
সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তাঁরা। লিটন ও নাজমুল।
৫ম ওভারে সিকান্দার রাজার আর্ম বল স্কিড করে ঢুকল, কিন্তু নাজমুল ব্যাটে খেলতেই পারলেন না! ব্যাট ও প্যাডের মাঝে বিশাল ফাঁক দিয়ে বোল্ড!
অধিনায়ক তুলে নিলেন অধিনায়ককে!
৪ বলে ৬ রান করে ফিরলেন নাজমুল। ক্রিজে তানজিদের নতুন সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশ: ৬ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৪২ রান।
ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। বাঁহাতি ওপেনার তানজিদের সামনে একটু পেছনে লেংথে ফেলেছিলেন ওভারের চতুর্থ বলটি। টেনে কাউ কর্নার দিয়ে ইনিংসের প্রথম ছক্কা মারলেন তানজিদ।
তানজিদ ১৪ বলে ১৫ রানে ব্যাট করছেন। হৃদয় ৩ বলে ৪ রানে অপরাজিত।
প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লে–তে ১ উইকেটে ৩৫ তুলেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচে পাওয়ার প্লে–তে ১ উইকেটে ৪১ তুলেছে বাংলাদেশ।
এ দুটো ম্যাচেই তাড়া করতে হয়েছে ১৪০ এর কম রান।
কিন্তু আজ আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে–টা নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী ভালোভাবে ব্যবহারের সুযোগ ছিল। দ্রুত দুটি উইকেট হারানোয় সেটি হলো না।
তৃতীয় ম্যাচে পাওয়ার প্লে–তে উঠেছে ৪২। দ্বিতীয় ম্যাচের চেয়ে মাত্র ১ রান বেশি!
বাংলাদেশ: ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৫২ রান।
সিকান্দার রাজা সপ্তম ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়েছেন। অষ্টম ওভারে লুক জঙ্গুয়ে দিয়েছেন মাত্র ৪ রান। জিম্বাবুয়ে চেপে ধরার চেষ্টা করছে। পাল্টা লড়াই করছেন হৃদয় ও তানজিদ। ১৯ বলে ২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন।
বাংলাদেশ: ৯ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৬০ রান।
তানজিদ অধৈর্য হয়ে উঠেছিলেন!
৯ম ওভারের শেষ বলে ফারাজ আকরামকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মাঠের সবচেয়ে বড় বাউন্ডারির অঞ্চল দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন তানজিদ। সেটি ডিপ মিড উইকেট অঞ্চল এবং ক্যাচ!
ক্লাইভ মাদান্দের হাতে জমা পড়ে ২২ বলে ২১ রানে ফিরলেন তানজিদ। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয় উইকেটে হৃদয় ও তানজিদের ২৬ বলে ৩১ রানের জুটি ভাঙল।
ক্রিজে হৃদয়ের নতুন সঙ্গী জাকের আলী।
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৩ রান।
পরিস্থিতি যাই হোক, বাংলাদেশের ইনিংসের গতিবিধি প্রায় একইরকম!
সিরিজে প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ১২৪ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৭ তুলেছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৮ তাড়া করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৬২ তুলেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচের মতো আজও প্রথ ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ১ রান বেশি করতে পেরেছে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারের তুলনায়।
দ্বিতীয় ম্যাচে পাওয়ার প্লে–তে যত রান উঠেছে, সে তুলনায় আজকের পাওয়ার প্লে–তেও মাত্র ১ রান বেশি তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ।
অথচ আজ রান তাড়ার চাপ ছিল না। আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৫ রান।
চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন হৃদয় ও জাকের। ১৮ বলে ১৫ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন দুজন।
বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৯১ রান।
রানের গতি বাড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। সিকান্দার রাজার বোলিং কোটার শেষ ওভারে একটি করে ছক্কা মারলেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী।
বাংলাদেশ: ১৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১০০ রান।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ওভারে এল ৯ রান। ওভারের তৃতীয় বলে চার মেরেছেন হৃদয়। ১০০ পূর্ণ হলো বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১১২ রান।
লুক জঙ্গুয়ের ওভারটি থেকে ১২ রান নিল বাংলাদেশ। হৃদয়–জাকের জুটির ৫০ পূর্ণ হলো। দলীয় ৬০ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর জুটি বাঁধেন এ দুজন।
বাংলাদেশ: ১৬ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৩ রান।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজাও তাঁর বোলিং কোটা পূরণ করে ফেললেন। তাঁর শেষ ওভার থেকে এল ১১ রান। হৃদয় আরেকটি ছক্কা মেরে ফিফটির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ: ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৯ রান।
প্রথম ২ ওভারে ২ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। ডেথ ওভারে এসে আরেকটি দুর্দান্ত ওভার করলেন ব্লেসিং মুজারাবানি। তাঁর এই ওভার থেকে ৬ রান নিতে পারল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪২ রান।
বাংলাদেশের হয়ে টি–টোয়েন্টি প্রথমবার ফিফটির দেখা পেলেন হৃদয়। এর আগে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে তাঁর সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ৪৭, গত বছর সিলেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪৯ রান।
মুজারাবানির দুর্দান্ত বোলিং প্রদর্শনী চলছেই। ১ বলের ব্যবধানে তিনি ফেরালেন হৃদয় ও জাকেরকে। ওভারে তৃতীয় বলে হৃদয়কে বোল্ড করে ভাঙলেন ৮৭ রানের জুটি। পঞ্চম বলে জাকেরকেও বোল্ড করলেন। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন মুজারাবানি। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তাঁর সেরা বোলিং।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান।
ইনিংসের শেষ ওভার করতে আসা ফারাজ আকরাম দিলেন ১৬ রান। এই ওভারে বাংলাদেশ মারল ৩টি চার (২টি মাহমুদউল্লাহ, ১টি রিশাদ)।
শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ নিল ১০২ রান।
চট্টগ্রামেই সিরিজ জয়ের আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। সিরিজে প্রথমবার আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ করতে পারল ১৬৫ রান। প্রথম ১০ ওভারে রান রেট ৬–এর আশেপাশে থাকলেও হৃদয়–জাকের থিতু হওয়ার পর রানের গতি বাড়িয়েছেন। আগের ২ ম্যাচে একবারও ১৫০ ছুঁতে না পারা জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্যটা এবার আরও বড়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাটিংয়ে নামবে সফরকারীরা। বাংলাদেশ কি আজই সিরিজ জিতে নিতে পারবে? জানতে হলে প্রথম আলোর সঙ্গেই থাকুন।
জিম্বাবুয়ে: ১ ওভারে বিনা উইকেটে ৪ রান।
প্রথম ওভারেই বোলিংয়ে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর স্পিনার। তাঁর ওভার থেকে ৪ রানের বেশি নিতে পারেননি জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি।
জিম্বাবুয়ে: ২ ওভারে বিনা উইকেটে ১২ রান।
দেখেশুনে ব্যাট করছেন গাম্বি ও মারুমানি। তাসকিন আহমেদের ওভারটি থেকে তাঁরা নিয়েছেন ৮ রান। ওভারের শেষ বলে চার মেরেছেন মারুমানি।
জিম্বাবুয়ে: ৩ ওভারে ১ উইকেটে ২১ রান।
বোলিংয়ে এসেই চার খেয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে পরের বলেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন। গাম্বিকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে বাংলাদেশকে এনে দিলেন প্রথম ব্রেক থ্রু।
প্রায় দেড় বছর পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন আগের ২ ম্যাচেও উইকেট পেয়েছিলেন।
জিম্বাবুয়ে: ৪ ওভারে ১ উইকেটে ২৩ রান।
আগের ম্যাচে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকা ব্রায়ান বেনেটকে এবার তিনে ব্যাট করতে পাঠিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তবে বেনেট ও মারুমানিকে হাত খুলে খেলার সুযোগ দিলেন না তানভীর। এই ওভারে দিলেন মাত্র ২ রান।
জিম্বাবুয়ে: ৫ ওভারে ২ উইকেটে ২৮ রান।
নিজের তৃতীয় বলেই বেনেটকে ফেরালেন তানজিম হাসান। তানজিমের শট ডেলিভারিটি তাঁর মাথার ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন বেনেট। কিন্তু ব্যাটে–বলে হয়ে ওঠেনি। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়েছেন তানজিম। চারে ব্যাট করতে এসেছেন ক্রেইগ আরভিন। নিজের খেলা প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি।
জিম্বাবুয়ে: ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৩ রান।
পাওয়ারপ্লের শেষ বলে আরভিনকে বোল্ড করলেন সাইফউদ্দিন। পাওয়ারপ্লেতে আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ জিম্বাবুয়ের এবারও শুরুটা ভালো হলো না।
জিম্বাবুয়ে: ৭ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৬ রান।
প্রান্ত বদল করে বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ রান দিলেন তাসকিন। জিম্বাবুয়ের প্রয়োজনীয় রান রেট এরই মধ্যে ১০ ছুঁয়েছে—জিততে দরকার ৭৮ বলে ১৩০ রান। ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই।
জিম্বাবুয়ে: ৮ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৮ রান।
ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দী জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। নিজের প্রথম ওভার করতে আসা লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ১২ রান দিলেও শেষ বলে উইকেটকিপার জাকেরের ক্যাচ বানিয়ে ফেরালেন রাজাকে। আগের দুই ম্যাচে রাজা করেছিলেন ৩ ও ০। আজ আউট হলেন ১ রানে।
জিম্বাবুয়ে: ৯ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৫ রান।
টানা দুটি ওয়াইড দেওয়ার পর সঠিক নিশানা খুঁজে পেলেন তানজিম। তাঁর এই ওভার থেকে ৭ রান নিতে পারল জিম্বাবুয়ে। রাজা আউট হওয়ার পর নেমেছেন ক্লাইভ মাদান্দে। তিনি সঙ্গ দিচ্ছেন ওপেনার মারুমানিকে।
জিম্বাবুয়ে: ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৫ রান।
ইনিংসের অর্ধেক শেষে ৬৫ রান করতে পারল জিম্বাবুয়ে। রিশাদের এই ওভার থেকে এল ১০ রান। মারুমানি–মাদান্দে দুজনই ১টি করে চার মেরেছেন। শেষ ১০ ওভারে সফরকারীদের দরকার আরও ১০১।
জিম্বাবুয়ে: ১১ ওভারে ৫ উইকেটে ৬৬ রান।
২১ মাস পর আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বোলিংয়ে এসেই উইকেট পেলেন মাহমুদউল্লাহ। লং অনে সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হলেন ওপেনার মারুমানি। এই ওভারে মাহমুদউল্লাহ দিলেন মাত্র ১ রান। সর্বশেষ ২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশের হয়ে টি–টোয়েন্টিতে বল করেছিলেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
জিম্বাবুয়ে: ১২ ওভারে ৫ উইকেটে ৭৩ রান।
আগের ম্যাচে ব্রায়ান বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তুলেছিলেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। সেই ক্যাম্পবেল তানভীরের করা এই ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে জিম্বাবুয়েকে আশা দেখাতে শুরু করলেন।
জিম্বাবুয়ে: ১৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৮ রান।
নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসা তাসকিন প্রথম বলেই লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরালেন মাদান্দেকে। তবে এই ওভারেরও শেষ বলে চার মারলেন ক্যাম্পবেল।
জিম্বাবুয়ে: ১৪ ওভারে ৭ উইকেটে ৯১ রান।
তানভীরের ওভারের টানা দুই ছক্কা মেরে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। তবে অতিমাত্রায় আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের কাছাকাছি লিটন দাসের হাতে ধরা পড়লেন। ম্যাচ এখন পুরোপুরি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। সিরিজ জয়ের সুবাস পাচ্ছে নাজমুলের দল।
জিম্বাবুয়ে: ১৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৭ রান।
ওভারের প্রথম বলেই লুক জঙ্গুয়েকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেললেন রিশাদ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি জঙ্গুয়ে। তবে পরের ৫ বলে রিশাদ দিলেন ১৬ রান। ব্যাটিংয়ে নেমেই তাণ্ডব চালাতে শুরু করলেন ফারাজ আকরাম।
জিম্বাবুয়ে: ১৬ ওভারে ৮ উইকেটে ১১২ রান।
ডেথ ওভারে বোলিংয়ে এসে মাত্র ৫ রান দিলেন তানজিম। সিরিজে টিকে থাকতে হলে শেষ ৪ ওভারে জিম্বাবুয়েকে করতে হবে ৫৪ রান।
জিম্বাবুয়ে: ১৭ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩০ রান।
প্রথম ২ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। তবে এই ওভারে লাইন–লেন্থ হারিয়ে ফেললেন তিনি। তাঁর ওভার থেকে এল ১৮ রান।
জিম্বাবুয়ে: ১৮ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৯ রান।
ম্যাচের পরিস্থিতি বিচারে আরেকটি দারুণ ওভার করলেন তানজিম। তাঁর শেষ ওভারটি থেকে ৯ রানের বেশি নিতে পারল না জিম্বাবুয়ে।
শেষ ২ ওভারে সফরকারীদের দরকার ২৭ রান।
জিম্বাবুয়ে: ১৯ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৫ রান।
যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ পুরোপুরি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে, তখনই ঝড় তুলতে শুরু করেছিলেন আকরাম। মাসাকাদজাকে নিয়ে নবম উইকেটে তাঁর জুটিটা ৫০ পেরিয়ে গেছে। তবে তাসকিনের এই ওভার থেকে মাত্র ৬ রান নিতে পেরেছেন দুজন।
শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ২১ রান।
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৬ রান।
শেষ ওভারের প্রথম বলেই মাসাকাদজাকে বোল্ড করলেন সাইফউদ্দিন। পরের ২ বলে খেলেন দুই চার। তবে শেষ ৩ বলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন সাইফউদ্দিন। দিলেন মাত্র ৩ রান।
তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতল ৯ রানে। দুই ম্যাচ বাকি রাখতে সিরিজও নিজেদের করে নিল।
মূলত চতুর্থ উইকেটে তাওহিদ হৃদয় আর জাকের আলীর ৮৭ রানের জুটিতেই বাংলাদেশের ইনিংস গতি পেয়েছে। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ–রিশাদের ‘ক্যামিওতে’ সংগ্রহ ১৬০ ছাড়িয়েছে। লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে কখনোই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেখা যায়নি। জোনাথান ক্যাম্পবেল আর ফারাজ আকরামের ঝোড়ো ব্যাটিং শেষ পর্যন্ত সফরকারীদের হারের ব্যবধানটাই শুধু কমিয়েছে।
চট্টগ্রামেই সিরিজ জিতে নেওয়া বাংলাদেশ এবার জিম্বাবুয়েকে সঙ্গে নিয়ে ফিরবে ঢাকায়। আগামী শুক্র ও রোববার সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ হবে মিরপুর শেরেবাংলায়।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (হৃদয় ৫৭, জাকের ৪৪, তানজিদ ২১, লিটন ১২, মাহমুদউল্লাহ ৯*, রিশাদ ৬*, নাজমুল ৬; মুজারাবানি ৩/১৪, রাজা ১/৩৮, আকরাম ১/৪৪)।
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৫৬/৯ (আকরাম ৩৪*, মারুমানি ৩১, ক্যাম্পবেল ২১, মাসাকাদজা ১৩, মাদান্দে ১১, মুজারাবানি ৯*, গাম্বিন ৯, আরভিন ৭, বেনেট ৫, জঙ্গুয়ে ২, রাজা ১; সাইফউদ্দিন ৩/৪২, রিশাদ ২/৩৮, মাহমুদউল্লাহ ১/১, তাসকিন ১/২১, তানভীর ১/২৬, তানজিম ১/২৬)।
ফল: বাংলাদেশ ৯ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: তাওহিদ হৃদয়।