বিশ্বকাপে চারটি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে সব দল। এখন পর্যন্ত দুই অপরাজিত দল স্বাগতিক ভারত ও গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড। রোহিত শর্মার ভারত টানা চারটি ম্যাচই শুধু জেতেনি, প্রতিপক্ষকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। চারটি ম্যাচই তারা জিতেছে পরে ব্যাট করে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছে তারা।
ভারত তাদের চারটি ম্যাচ খেলেছে চার ভেন্যুতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চেন্নাই, আফগানিস্তানের বিপক্ষে দিল্লি, পাকিস্তানের বিপক্ষে আহমেদাবাদ আর বাংলাদেশের বিপক্ষে পুনেতে খেলেছে তারা। ভারতের খেলা এই চার ভেন্যুর মধ্যে দুটির পিচকে গড়পড়তা রেটিং দিয়েছে আইসিসি।
গড়পড়তা রেটিং পাওয়া সেই দুই পিচের একটি আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, অন্যটি চেন্নাইয়ে এমএ চিদাম্বরম। চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি খেলেছিল ভারত। সেই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ১০ উইকেটের ৬টিই নেন স্পিনাররা। রান তাড়া করতে নেমে ৫২ বল হাতে রেখে ম্যাচটি ৬ উইকেটে জেতে অস্ট্রেলিয়া।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। সেই ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ১৯১ রানে অলআউট হয় বাবর আজমের দল। একটা পর্যায়ে ২ উইকেটে তাদের রান ছিল ১৫৫। হঠাৎ ধসে ৩৬ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় তারা। ভারতের স্পিনাররা নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। পরে ১১৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারত।
এ দুটি ছাড়া এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের বাকি সব পিচকে আইসিসি হয় ‘ভালো’ অথবা ‘খুব ভালো’ রেটিং দিয়েছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম আর এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের পিচকে আইসিসির গড়পড়তা রেটিং দেওয়া মানতে পারছেন না ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে গতকাল দ্রাবিড় বলেছেন, ‘আমি শ্রদ্ধা নিয়েই বলছি, এই দুটি উইকেটকে দেওয়া গড়পড়তা রেটিংয়ের সঙ্গে একমত নই। আমি তো বলব, দুটিই খুব ভালো উইকেট ছিল। আপনি যদি শুধু ৩৫০ রানের ম্যাচই দেখতে চান এবং সেই সব উইকেটকেই ভালো রেটিং দেন, তাহলে আমি সেটার সঙ্গে একমত নই।’