বিপিএল খেলার জন্য ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ ও মোহাম্মদ হারিসকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এর ফলে এবারের বিপিএলে তাঁদের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফখর ফরচুন বরিশাল, ইফতিখার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এবং হারিস চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আছেন।
পাকিস্তানের জিও সুপার জানিয়েছে, ফখর–ইফতিখারদের অনাপত্তিপত্র না দেওয়া হলেও বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানদের বিপিএল খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টি–টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশে আসার কথা এ দুজনের। বাবর রংপুর রাইডার্স এবং রিজওয়ান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে খেলবেন।
আজ বাংলাদেশে বিপিএলের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে আইএল টি–টোয়েন্টি। দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই বেশ কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছেন। গতকাল পিসিবির এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তির শর্তাবলি বিবেচনায় লিগ দুটিতে খেলার অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে। জড়িত সব পক্ষের সর্বোচ্চ স্বার্থ প্রাধান্য দিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। তবে কোন কোন ক্রিকেটারকে কোন লিগের জন্য অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে, সেটি জানায়নি পিসিবি।
জিও সুপারের প্রতিবেদনে বলা হয়, চোট থেকে সেরে ওঠা নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইনকে আসন্ন পিএসএল ও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়নি। নাসিমের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও হাসনাইনের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলার কথা। এ ছাড়া গত জুলাইয়ের পর থেকে এরই মধ্যে দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে ফেলায় ফখর, ইফতিখার, হারিস এবং সাইম আইয়ুবকেও অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়নি। তবে ডন নিউজের অন্য এক খবরে তাঁদের বিপিএলে খেলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা একজন খেলোয়াড়কে পিএসএলসহ বছরে তিনটি লিগ খেলার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ চুক্তি হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে, যে সময়ের আগেই অনেক ক্রিকেটার ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছেন। পিসিবির মিডিয়া ডিরেক্টর আলিয়া রাশিদ ডন নিউজকে জানান, দেরিতে কেন্দ্রীয় চুক্তি হওয়ায় এক বছরের জন্য অনাপত্তিপত্র দেওয়ার শর্ত শিথিল করা হয়েছে। ২০২৪–২৫ মৌসুম থেকে এক বছরে পিএসএলসহ তিনটির বেশি লিগে খেলার অনুমতি দেওয়া হবে না।
এদিকে জিও নিউজের খবরে বলা হয়, চুক্তিবদ্ধ সব ক্রিকেটারকে নিয়ে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে কয়েকটি টি–টেন ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়েছিল পিসিবি। তবে সেটি হবে কি না, এই মুহূর্তে নিশ্চিত নয়।