আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস
আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস

আফগানিস্তানকে হারিয়ে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস

সংক্ষিপ্ত স্কোরআফগানিস্তান: ১৫৫ ও ৭৫.৪ ওভারে ২১৮ (হাশমতউল্লাহ ৫৫, গুরবাজ ৪৬, ইব্রাহিম ১২, নুর ৩২, নাভিদ ২৫ ; অ্যাডাইর ৩/৫৬, ম্যাকার্থি ৩/৪৮, ইয়াং ৩/২৪)আয়ারল্যান্ড: ২৬৩ ও ১১১/৪ (বলবার্নি ৫৮*, টাকার ২৭*; নাভিদ ২/৩১)।

আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটে ইতিহাস। আবুধাবির টলারেন্স ওভালে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয় পেল আয়ারল্যান্ড। নিজেদের ইতিহাসে অষ্টম টেস্টে এসে জয়ের মুখ দেখল আয়ারল্যান্ড। ১১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩ রানে ৩ উইকেট হারালেও  অ্যান্ড্রু বলবার্নি ও লরকান টাকারের জুটি আয়ারল্যান্ডকে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে।

১১১ রান বা এর চেয়ে কম রানের লক্ষ্য দিয়ে এর আগে টেস্ট জেতার ৫টি ঘটনা আছে। বল হাতে আফগানিস্তান ভালো শুরুর পরও ষষ্ঠ ঘটনা ঘটাতে পারেনি। সবচেয়ে কম ৮৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৭ রানের জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড, সেটা ১৮৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

১১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ৮ রানেই  নাভিদ জাদরানের বলে আউট হন পিটার মুর। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফার আউট হন প্রথম বলেই, তাঁকেও ফেরান নাভিদই। হ্যারি টেক্টরও ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, ২ রান করে আউট হন নিজাদ মাসুদের বলে। সেখান থেকে ওপেনার অ্যান্ড্রু বলবার্নি ও অভিজ্ঞ পল স্টার্লিং ২৬ রানের জুটি গড়েন। তবে স্টার্লিংয়ের ইনিংস বড় হয়নি। ১৪ রান কর জিয়াউর উর রেহমানের বলে ফিরেছেন। ম্যাচের বাকি গল্পটা বলবার্নি ও টাকারের। পঞ্চম উইকেটে গড়েছেন ৭২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।

আয়ারল্যান্ড টেস্ট খেলার মর্যাদা পেয়েছে ২০১৭ সালে। ২০১৮ সালে অভিষেক টেস্ট পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার পর তারা খেলেছে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলের সঙ্গে। হেরেছে প্রতি ম্যাচেই। ভারতে ২০১৯ সালে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল আয়ারল্যান্ড। সে ম্যাচে তারা হেরেছে ৭ উইকেটে।

প্রথম টেস্ট জয় পেতে ম্যাচের হিসাবে আয়ারল্যান্ড কম ম্যাচ খেলেছে জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ভারত, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের চেয়ে। প্রথম টেস্ট জিততে সবচেয়ে বেশি ৪৫টি টেস্ট খেলতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশের লেগেছে ৩৫ ম্যাচ। নিজেদের খেলা প্রথম টেস্টেই জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান নিজেদের খেলা দ্বিতীয় টেস্টেই প্রথম জয় পেয়েছিল।

১৪ রানে আউট হন স্টার্লিং

আফগানিস্তান দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ৩ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে। অর্থাৎ ২৬ রানে এগিয়ে থেকে। তবে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও আফগান ব্যাটসম্যানরা ধস আটকাতে পারেননি। দিনের শুরুতে ব্যক্তিগত ৫৫ রানে অ্যাডাইরের বলে এলবিডব্লু  হন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। এরপর নাসির জামাল, করিম জানাতরাও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবু ক্রিজে ভরসা হয়ে ছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।

দলীয় ১৭৪ রানে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে তিনি আউট হলে আয়ারল্যান্ডকে বড় লক্ষ্য দেওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় আফগানদের। নয় নম্বরে নামা নাভিদের ব্যাট থেকে ২৫ রান এলে আফগানিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৮ রানে গুটিয়ে যায়। আয়ারল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১১ রান।

প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে আয়ারল্যান্ডের নায়ক মার্ক অ্যাডাইর। দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানিস্তানের শীর্ষ চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিনজনকেই আউট করেছেন এই বাঁহাতি। বল হাতে অ্যাডাইরের মতো ৩ উইকেট নিয়েছেন ম্যাকার্থি ও ইয়াং।