বিদায় বেলায় সংবর্ধনায় সিক্ত ফরহাদ হোসেন
বিদায় বেলায় সংবর্ধনায় সিক্ত ফরহাদ হোসেন

যে দুর্ভাগ্যের রেকর্ড সঙ্গী করে অবসরে গেলেন ফরহাদ

২০০৫ সালে শুরু, ২০২৪ সালে শেষ—প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৯ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার ফরহাদ হোসেনের। গতকাল ১৬১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ইতি টেনেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত এই মুখ। বিদায়বেলায় একটু আক্ষেপ না থেকে পারে না ফরহাদের। ঘরোয়া ক্রিকেটে বছরের পর বছর রান করে টিকে থাকলেও বাংলাদেশের জার্সিতে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচও যে খেলা হলো না!

তাতে অবশ্য একটি রেকর্ড নিয়েই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ছাড়তে পারলেন ফরহাদ। রেকর্ডটি অবশ্যই মন খারাপের। বাংলাদেশের হয়ে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলে সবচেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি তো ফরহাদেরই।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৬১ ম্যাচে ৯০৬৫ রান ফরহাদের। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে বোলিং প্রায় ছেড়ে দিলেও অফ স্পিনে ১৬৫ উইকেট তাঁর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৮টি সেঞ্চুরি করা ফরহাদ ক্যাচ নিয়েছেন ২০৩টি। এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স নিয়েও কোনো টেস্ট না খেলার আক্ষেপে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার শেষ করলেন ফরহাদ।

শততম প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সেঞ্চুরি পর ফরহাদ হোসেন। এই সংস্করণে ১৮টি সেঞ্চুরি ফরহাদের

ফরহাদ তাঁর লম্বা ক্যারিয়ারে ১২৭টি ম্যাচ খেলেছেন রাজশাহী বিভাগের হয়ে। বিসিএলে উত্তরাঞ্চলের হয়ে ৩০টি ও দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ১টি ম্যাচ খেলা ফরহাদ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন অন্য ৩টি ম্যাচ।

কখনো জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও ফরহাদ বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ও বিসিবি একাডেমি ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছেন।
ফরহাদের দুর্ভাগ্যের রেকর্ডে কাছাকাছি আছেন ইমতিয়াজ হোসেন। সিলেট বিভাগের এই ওপেনার ১৫৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭৩৫৫ রান করলেও কখনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ১৫৩ ম্যাচের ১৪৫টি জাতীয় লিগে খেলেছেন ইমতিয়াজ, যেটি টুর্নামেন্টের রেকর্ড।

ফরহাদ ও ইমতিয়াজ ছাড়া ১০০-এর বেশি ম্যাচ খেলেও বাংলাদেশের হয়ে কোনো ম্যাচ না খেলা ক্রিকেটার আছেন আরও তিনজন—শাহিন হোসেন, নাবিল সামাদ ও আবদুল মজিদ। তাঁদের মধ্যে নাবিল ও মজিদ এখনো খেলছেন।