এবারের বিপিএলে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেই। তবে আছে এডিআরএস (অল্টারনেটিভ ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম)। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে একমত না হলে খেলোয়াড়েরা এডিআরএসের সাহায্য নিতে পারেন। ঢাকা ডমিনেটরসের ওপেনার সৌম্য সরকার আজ সে কাজটিই করেছেন। কিন্তু সৌম্য সেটা করার পর যা হলো, তাকে মহানাটকই বলতে হবে।
বিপিএলের আজ দিনের প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১১৩ রান তোলে খুলনা টাইগার্স। এই রান তাড়া করতে নেমে ঢাকার ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নাসুমের বলে সৌম্যর বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর আবেদন করে খুলনার খেলোয়াড়েরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার গাজী সোহেল।
সৌম্য সঙ্গে সঙ্গেই এডিআরএসের সাহায্য নেন। বল তাঁর গ্লাভসে লেগেছে বলেই মনে হয়েছে। টিভি আম্পায়ার সব দেখেশুনে অবশ্য মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। কিন্তু সৌম্য এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে তিনি ক্রিজ ছাড়ছিলেন না। উপায় না দেখে আম্পায়ার আবারও তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন। এবার আরও ভালো করে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার সৌম্যকে নটআউট ঘোষণা করেন।
তৃতীয় আম্পায়ারের এ সিদ্ধান্ত ভালো লাগেনি খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলী ও ওপেনার তামিম ইকবালের। তাঁরা দুজন সঙ্গে সঙ্গেই এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন। বেশ কিছুক্ষণ মাঠের আম্পায়ার গাজী সোহেলের সঙ্গে কথাও বলেন। বিশেষ করে তামিম আম্পায়ারের সঙ্গে বেশি অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেন। দেখে মনে হচ্ছিল পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা চাইছেন তিনি। কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি, সৌম্যকে আউট দেননি আম্পায়ার।
এই ঘটনার সময় ঢাকার রান ছিল বিনা উইকেটে ২৬ আর সৌম্য ছিলেন ৫ রানে। এরপর অবশ্য বেশি দূর এগোতে পারেননি সৌম্য। আউট হয়েছেন তিনি ১৩ বলে ১৬ রান করে।