অনুশীলনের জন্য মাঝমাঠের উইকেট দেখে রীতিমতো অবাক ইংল্যান্ড দলের পেসাররা। প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে বোলিং অনুশীলনের জন্য এমন সবুজ উইকেট!
পরে বোলিং করে দেখা গেল সিম, সুইং—সবই হচ্ছে উইকেটে। কিন্তু আগামীকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটা যে হবে শেষ ওয়ানডের উইকেটে! সেই মন্থর উইকেটে সাকিব একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন ইংলিশদের।
অবশ্য অনুশীলনে পাওয়া সবুজ উইকেট আর ম্যাচের ব্যবহৃত উইকেটের পার্থক্য তেমন একটা ভাবাচ্ছে না ইংলিশদের। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বলে কথা! কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই যে খেলতে হবে, সেটা তাদের ভালোই জানা।
সফরের শুরু থেকেই বাংলাদেশের কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ সামলে ভালো খেলার বার্তা দিয়ে এসেছে জস বাটলারের দল। ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর তাই টি-টোয়েন্টির কন্ডিশন নিয়ে ভাবতে চাইছে না ইংলিশরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা ক্রিস ওকস বলেছেন, ‘যা দেখছি, তাতে মনে হয়েছে কঠিন হবে। তবে আমরা খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’
ব্যবহৃত উইকেটে খেলার প্রসঙ্গ টেনে ওকস যোগ করেন, ‘উইকেট সম্ভবত মন্থরই হবে। আর খেলাও শুরু হবে একটু আগে। সে ক্ষেত্রে শিশির থাকবে না। স্পিনাররা এখানে সুবিধা পাবে। তবে পেসার হিসেবে আমাদের হয়তো বৈচিত্র্যে মন দিতে হবে। স্টাম্প বরাবর বল করতে হবে। গতির পরিবর্তন...স্লোয়ার, স্লোয়ার বাউন্সার—এসব কাজে লাগাতে হবে।’
গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর এটিই হবে ইংলিশদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা ধরে রেখেই সিরিজটা খেলতে চান ওকস, ‘আমরা যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, এটা আরেকবার দেখানোর সুযোগ এটি। বিশ্বকাপের পর আমরা এখনো কোনো সিরিজ খেলিনি। এই ধরনের কন্ডিশনে আমাদের খেলতে হবে, এটার অন্য রকম রোমাঞ্চ আছে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশও ভালো দল। রোমাঞ্চকর এক সিরিজই হবে।’
বিশ্বকাপের পর এই প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ দলও। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়াতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০ ওভারের খেলায় ভালো খেলার সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় সাকিবের দল। তার ওপর খেলা ঘরের মাঠে। চেনা কন্ডিশন কাজে লাগাতে পারলে যেকোনো কিছুই হতে পারে।
ওকসও সে রকমই মনে করেন। ওয়ানডের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ আশা করছেন টি-টোয়েন্টিতেও, ‘ওরা ঘরের মাঠে খুবই ভালো দল। আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে। ওয়ানডেতে তো দেখলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটা সব সময়ই কঠিন। আমরা ২-১–এ জিতেছি। টি-টোয়েন্টিতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হবে।’
সদ্য সমাপ্ত বিপিএলের পারফরমারদের নিয়েই ইংল্যান্ড সিরিজের টি-টোয়েন্টি দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ। দলে তিনজনই নতুন মুখ। ইংলিশরা সতর্ক তাঁদের নিয়েও, ‘নতুনরা ভীতিকর হতে পারে। বিপিএলে ভালো খেলায় ওরা নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে নামবে। তাদের শক্তি-দুর্বলতা বোঝার আগেই হয়তো ওরা ২০-৩০ রান করে ফেলবে। আমাদের দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে।’