আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলগুলো টেস্ট ও ওয়ানডেতে বেটিং কোম্পানির লোগোযুক্ত জার্সি পরতে পারবে। এ বিষয়ে আগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে আইসিসি।
ক্রিকেটের বৈশ্বিক সংস্থার বরাতে খবরটি দিয়েছে দ্য টাইমস পত্রিকা। খবরে বলা হয়, দলগুলো চাইলে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বেটিং কোম্পানির প্রচারণা চালাতে পারবে। তবে আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) বেটিং কোম্পানির উপস্থিতি বন্ধই থাকবে।
বেটিং কোম্পানি নিয়ে আইসিসির নতুন সিদ্ধান্তের খবরটি এমন সময় এল, যখন এ ধরনের একটি কোম্পানির বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়ে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অনানুষ্ঠানিক তদন্তের আওতায় আছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ইংল্যান্ড টেস্ট দলের প্রধান কোচ ২২বেট নামের একটি বেটিং কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন। আইপিএল নিয়ে কোম্পানিটির বিজ্ঞাপন প্রচারের পর এ নিয়ে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
একপর্যায়ে নিউজিল্যান্ড অঞ্চলের জন্য গুগল ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেয়। বিবিসি খবর দেয়, ইসিবিও ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের প্রধান কোচের বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়াটা খতিয়ে দেখছে।
ইসিবির গ্যাম্বলিং নীতিমালায় বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বেটিংয়ে অংশ নেওয়া এবং ‘প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রলুব্ধ করা, প্ররোচিত করা, উৎসাহিত করা বা অন্য কোনো পক্ষকে কোনো ম্যাচ বা প্রতিযোগিতার ফলাফল, অগ্রগতি, আচরণ বা অন্য কোনো দিক সম্পর্কে বাজিতে প্রবেশে সহায়তা করা’য় নিষেধ আছে।
দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়, আইসিসি অনুমোদন দিলেও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পোশাকে বেটিং কোম্পানির লোগো ব্যবহার করবে না ইসিবি। এটি তাদের দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
২২বেটের মূল প্রতিষ্ঠান এস্তোনিয়াভিত্তিক কোম্পানি ‘টনিবেট’। এটির যুক্তরাজ্যেও ব্যবসা করার সনদ আছে। টাইমস জানিয়েছে, গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের গ্যাম্বলিং কমিশন ‘সামাজিক দায়বদ্ধতার ব্যর্থতা’র দায়ে টনিবেটকে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৫০ পাউন্ড জরিমানা করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।