তানজিদ ৮.৫, লিটন ২

বাংলাদেশের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ দেখে শুরুতে কিছুটা আশাহত হলেও ইনিংসের মাঝামাঝি তানজিদ এবং তাওহিদের আক্রমণাত্মক জুটি দেখে স্বস্তি পেয়েছি। তবে জিম্বাবুয়েকে কোণঠাসা অবস্থায় পেয়ে আরও অল্প রানে গুটিয়ে ফেলার সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে গেল। সিরিজের প্রথম ম্যাচ হিসেবে কিছুটা জড়তা থাকা অস্বাভাবিক নয়। আশা করি দ্রুতই এই জড়তা কাটিয়ে উঠবে বাংলাদেশ।

শরীফুল ইসলাম ৪/১০

অন্যদের তুলনায় বেশ খরুচে এবং দিন শেষে উইকেটহীন থাকলেও বোলিং যে খুব খারাপ করেছে তা নয়। তবে আজকের বোলিং নিয়ে ওর সন্তুষ্ট না হওয়ারই কথা।

মেহেদী হাসান ৭.৫/১০

বেশ কিছুদিন পর আবার স্বরূপে দেখা গেল। পাওয়ার প্লে-তে নতুন বলে বেশ ধারালো মনে হয়েছে। অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে শুরুতেই দুই উইকেট নিয়ে দলকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে সাহায্য করেছে।

তাসকিন আহমেদ ৮/১০

দারুণ ক্ষুধার্ত এবং আক্রমণাত্মক তাসকিনকে দেখে ভালো লেগেছে। তাঁর নেওয়া ৩ উইকেটের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অষ্টম জুটি ভেঙে দেওয়া ইয়র্কারটি নিঃসন্দেহে ম্যাচের সেরা বল ছিল।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৭.৫/১০

খুব বেশি গতি না থাকলেও বৈচিত্র্য এবং উপস্থিত বুদ্ধির দারুণ প্রয়োগ করে প্রমাণ করেছেন যে তিনি ফুরিয়ে যাননি। সময়মতো ৩ উইকেট নিয়েছেন। বিশেষ করে শেষ ওভারের নিয়ন্ত্রিত ইয়র্কারগুলো ছিল দারুণ।

রিশাদ হোসেন ৩/১০

খুব ভালো সময়ে অধিনায়ক তাঁর হাতে বল তুলে দিলেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। এর আগে তাঁকে এত আলগা বল করতে দেখিনি। আশা করি, স্পিন বোলিং কোচ তাঁকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন।

লিটন দাস ২/১০

এই সিরিজ দারুণ একটা সুযোগ ওর ফর্মে ফিরে আসার জন্য। কিন্তু শুরুটা ভালো হলো না।

তানজিদ হাসান ৮.৫/১০

ভালো খেলতে পারলে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া যাবে—এই চিন্তা নিয়ে খেলা অস্বাভাবিক নয়। তাঁকে আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবেই সবাই জানে। শুরুতে কিছুটা মন্থর হলেও পরে ভালোভাবেই পুষিয়ে দিয়েছেন। দলের অন্যরাও তাঁর এই ব্যাটিং দেখে অনুপ্রাণিত হবে আশা করি।

নাজমুল হোসেন ৪.৫/১০

টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং বলার সুযোগ নেই। বেশ নিরাপদ পন্থাই অবলম্বন করল। প্রথম ম্যাচ হিসেবে হয়তো অধিনায়ককে কিছুটা ছাড় দেওয়া যায়।

তাওহিদ হৃদয় ৭.৫/১০

উপভোগ্য ইনিংস। ব্যাটিং সক্ষমতার পাশাপাশি শুরু থেকেই দারুণ ইতিবাচক মানসিকতাও অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই উইকেটে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা যায়, সেটি ভালোভাবেই প্রমাণ করলেন।