কানাডার পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও জয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের সময়টা কাটছিল স্বপ্নের মতো। তবে তাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটা নেওয়ার কথা ছিল টুর্নামেন্ট ফেবারিট ভারতের। হয়েছেও তা–ই।
নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সুপার এইটে চলে গেছে ভারত। আগে ব্যাটিং করে ১১০ রানে আটকে যায় যুক্তরাষ্ট্র, রান তাড়ায় ১০ রানে ২ উইকেট হারালেও সূর্যকুমার যাদবের অপরাজিত অর্ধশতকে ১৮.২ ওভারে জয় পায় ভারত।
কঠিন উইকেটে রান তাড়ার শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। সৌরভ নেত্রবালকারের করা প্রথম ওভারেই অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কট বিহাইন্ড হন বিরাট কোহলি। প্রথম দুই ম্যাচে ১ ও ৪ রানে আউট হওয়ার পর গতকাল কোহলির ইনিংস থামে ০ রানে।
দ্বিতীয় ওভারে এসে ৩ রান করা রোহিত শর্মাকেও স্লো বলের ফাঁদে ফেলেন সৌরভ। শুরুর ধাক্কা সামলে ভারতকে টানেন ঋষভ পন্ত ও সূর্যকুমার যাদব। দুজনের জুটিতে ওঠে ৩২ বলে ২৯ রান।
২০ বলে ১৮ রানে পন্ত থামলেও ভাগ্যকে পাশে নিয়ে এগিয়ে যান সূর্যকুমার। ২২ রানে শ্যাডলি ফন শালকভিকের বলে তিনি জীবন পান সৌরভের হাতে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে শিবম দুবের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে রান বাড়াতে থাকেন সূর্যকুমার।
চাপের মুখে হিসেবেও গড়মিল করে বসে যুক্তরাষ্ট্র। দুইবার সতর্ক করার পরও নতুন ওভার শুরু করতে সময় বেশি নেওয়ায় ৫ রান পেনাল্টি হয় তাদের। ১৫তম ওভারে ওই ঘটনার পর ম্যাচ শেষ করতে সূর্যকুমার বেশি সময় নেননি। সব ধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০তম অর্ধশতক করে ১৯তম ওভারে ভারতকে জয় এনে দেন। ৪৯ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন সূর্যকুমার, দুবে অপরাজিত থাকেন ৩৫ বলে ৩১ রানে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংসে দাপট দেখান বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ সিং। প্রথম ওভারে ২ উইকেট নেন তিনি। নিয়মিত অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের জায়গায় ইনিংস উদ্বোধনে আসা শায়ান জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ফেরেন ফর্মে থাকে আন্দ্রিস গাউস।
শুরুর ধাক্কাটা অ্যারন জোন্স ও স্টিভেন টেলর সামাল দিয়েছিলেন মোটামুটি। দুজনের ২২ রানের সে জুটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। এক ছক্কায় ২২ বলে ১১ রান করে পান্ডিয়ার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন জোন্স। টেলরও (৩০ বলে ২৪ রান) ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের রানটাকে এক শর ওপারে নিতে সাহায্য করেন নীতীশ কুমার। চাপের মুখে ১টি ছক্কা ও ২টি চারে ২৩ বলে যোগ করেন ২৭ রান। ফন শালকভিক শেষের দিকে আরও ১১ রান যোগ করেন। ভারতের হয়ে ৯ রানে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেটই নেন অর্শদীপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি ভারতের সেরা বোলিং বিশ্লেষণ।