ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর এক দফা পরিবর্তন এসেছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট। সদ্য শেষ হওয়া টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। আরও একবার যে পরিবর্তন আসবে, সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। এবার অবশ্য পরিবর্তনটা তুলনামূলক কম। নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সাদা ও লাল বলের প্রধান দুই কোচই যেহেতু নতুন, পরিবর্তন আসেনি সেখানেও।
পাকিস্তানের ক্রিকেটে নতুন যে পরিবর্তন, সেটা একমাত্র নির্বাচক কমিটিতে। ওয়াহাব রিয়াজ ও আবদুল রাজ্জাককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচক কমিটি থেকে। নতুন কমিটিতে অবশ্য আছেন আগের কমিটির দুই নির্বাচক মোহাম্মদ ইউসুফ ও আসাদ শফিক।
পাকিস্তান দলের এসব পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার সরফরাজ নেওয়াজ। নির্বাচক কমিটিতে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন আর নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসেনি বলে খুব একটা খুশি হতে পারেননি সাবেক এই ফাস্ট বোলার। সাদা বলের ক্রিকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে অধিনায়ক করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে সরফরাজ বলেছেন, ‘নির্বাচক কমিটি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছিল। বিশ্বকাপের আগে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচক কমিটির প্রত্যেক সদস্য বলেছিল যে সবার মতের ভিত্তিতেই দল গঠন করা হয়েছে। দল নির্বাচন নিয়ে কমিটির প্রত্যেক সদস্যেরই দায় আছে। তাই সবাইকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। পুরো নির্বাচক কমিটিই ব্যর্থ।’
মোহাম্মদ ইউসুফ ও আসাদ শফিককে রেখে আগের নির্বাচক কমিটি থেকে ওয়াহাব রিয়াজ ও আবদুল রাজ্জাককে সরিয়ে দিয়েছে পিসিবি। ওয়াহাবকে নিয়ে আগেই আপত্তি জানানোর কথা বলেছেন সরফরাজ, ‘ওয়াহাবের বিতর্কিত অতীত আর প্রশাসক হিসেবে তার সামর্থ্যের অভাব নিয়ে আমি প্রকাশ্যেই জাকা (পিসিবির সাবেক প্রধান) ও নাকভিকে (পিসিবির বর্তমান প্রধান) চিঠি লিখেছিলাম। আমার পরামর্শে কেউ মনোযোগ দেয়নি। ওয়াহাব নির্বাচক, পরামর্শক ও ম্যানেজার করার পরই আমি ভালো করে জানতাম, সে এর কোনোটিই ঠিকভাবে করার যোগ্য নয়।’
সামান্য পরিবর্তন না করে, বিশদ পরিবর্তনের পক্ষে সরফরাজ, ‘পুরো সিস্টেমকে সঠিক পথে ফেরাতে বড় রকমের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। নির্বাচক কমিটি তিন সদস্যের হওয়া উচিত এবং শুধু ওয়াহাব আর আবদুল রাজ্জাককে সরিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট নয়। এমনকি আসাদ শফিক ও মোহাম্মদ ইউসুফও কাজের লোক নয়।’
শান মাসুদকে টেস্টের অধিনায়ক রাখা নিয়ে সমস্যা নেই সরফরাজের। কিন্তু সাদা বলে তিনি বাবর আজমকে অধিনায়ক দেখতে চান না। সরফরাজ বলেছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে রিজওয়ান কেপিকে–কে (খাইবার পাখতুন) অতীতে সব ধরনের প্রতিযোগিতা জিতিয়ে নিজের অধিনায়কত্বের বিষয়টি প্রমাণ করেছে। মুলতান সুলতানেও বছরের পর বছর তাঁর নেতৃত্ব একই রকম। এ কাজের জন্য সে–ই সেরা। বাবর আজমের আত্মবিশ্বাস তলানিতে এবং অধিনায়ক হিসেবে তাকে বিবেচনা করা উচিত নয়।’