ক্যান্ডি থেকে শুরু। শ্রীলঙ্কার পর্বতে ঘেরা এ শহর থেকে বাংলাদেশ দলকে যেতে হয় পাকিস্তানের লাহোরে। সেখান থেকে এবার শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ফিরেছে বাংলাদেশ দলের এশিয়া কাপ–যাত্রা। এবারের এশিয়া কাপের সফরসূচিতে এমন বিড়ম্বনা থাকবে, তা বাংলাদেশের আগেই জানা। তাই এ নিয়ে অভিযোগের কিছু নেই। বাংলাদেশ দলকে মানিয়ে নিয়েই খেলতে হবে এশিয়া কাপ।
আর মানিয়ে নেওয়ার কাজটা কঠিন করে তুলছে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের কন্ডিশন। আজ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোর পর্বের ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এ কথাই বললেন, ‘আমরা দেশের বাইরে খেলছি। আর দুটি দেশের কন্ডিশনই ভিন্ন। বিশেষ করে লাহোর আর কলম্বো, বিরাট পার্থক্য। এটাই চ্যালেঞ্জ, তবে এটা ভালো চ্যালেঞ্জ। যা আমাদের উতরাতে হবে।’
বাংলাদেশ দলকে ব্যাটিং ধারাবাহিকতার সমস্যাও কাটিয়ে উঠতে হবে। এবারের এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল, এর মধ্যে দুটিতে ২০০ রান করতে পারেনি। সে দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ হেরেছে। যে ম্যাচটা জিতেছে, সে ম্যাচে বাংলাদেশের রান ছাড়িয়েছে ৩০০। আরও একটি ম্যাচের আগে তাই বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়েই আলোচনা বেশি হচ্ছে।
টিম ম্যানেজমেন্টের একই দুশ্চিন্তা। অন্তত হাথুরুসিংহের কথায় তা বোঝা গেল, ‘আমরা জানি আগের ম্যাচগুলোতে কী হয়েছে। আমরা ভিন্ন কন্ডিশন ও ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শেষ দু-তিনটি ম্যাচ খেলেছি। এসব ক্ষেত্রে কন্ডিশন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা জানি, আমরা এর চেয়েও ভালো করতে পারি। আমাদের অধারাবাহিকতার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। সামনে যেন আরও ভালো করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।’
ব্যাটিং সমস্যার আলোচনায় বাংলাদেশ দলের ওপেনিং জুটির বিষয়টি চলে আসে। মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে এশিয়া কাপের সর্বশেষ দুই ম্যাচ ওপেন করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এক ম্যাচে করেছেন সেঞ্চুরি, আরেকটিতে কোনো রান না করেই আউট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচেও কি মিরাজকে ওপেনিংয়ে দেখা যাবে? নাকি নিয়মিত ওপেনার লিটন দাস ফিরবেন তাঁর স্বাভাবিক জায়গায়?
হাথুরুসিংহে অবশ্য এ তথ্য এখনই সবাইকে জানাতে রাজি নন। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘আপনি আমাকে ভেতরের খবর জানিয়ে দিতে বলছেন? আমি তো শ্রীলঙ্কার কোচকে একটু আগেই এখানে দেখলাম।’ পরে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা এটা নিয়ে ভাবছি। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। কাল এখানে এসে সিদ্ধান্ত নেব। কন্ডিশন কেমন থাকে, আবহাওয়া কেমন থাকে, তা দেখতে হবে। গত কয়েক দিনের আবহাওয়া একদম অন্যরকম। এই সিদ্ধান্ত আমরা যতটা দেরিতে নিতে পারি, ততই ভালো।’