ক্রিকেটের ঠাসা সূচি নিয়ে অনেক আগে থেকেই কথা হচ্ছে। আজ এই টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে তো কাল অন্য কোনো সিরিজ শুরু হচ্ছে। খেলোয়াড়েরা কোথায় একটি বিশ্রাম নেবেন, একটু জয় উদ্যাপনে মন চাঙা করে ফুরফুরে মেজাজে মাঠে ফিরবেন, সে সুযোগ নেই।
একটার পর একটা ম্যাচ থাকায় জীবনটা ‘যান্ত্রিক’ হয়ে পড়েছে। মঈন আলী তাতে বিরক্ত। গতকালই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড, খেলোয়াড়েরা কোথায় এই জয় উদ্যাপন করবেন তা না, নিতে হচ্ছে নতুন সিরিজের প্রস্তুতি। অ্যাডিলেডে আগামী বৃহস্পতিবারই যে ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিশ্রাম ও উদ্যাপনের জন্য মাঝে মাত্র তিন দিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা সময় পাচ্ছে ইংল্যান্ড। মঈনের মতে, এই স্বল্প বিরতিতে ক্রিকেটাররা মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে পারবেন না। তাতে মাঠে ফিরে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দেওয়াও কঠিন হয়ে উঠবে। ইংল্যান্ড ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পরও এমন হয়েছিল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কয়েক দিন পর টেস্টে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাদের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ১৩ বলে ১৯ রান করা মঈন সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে বলেছেন, ‘তিন দিনের মধ্যে আরেকটি ম্যাচ। এটা ভয়াবহ ব্যাপার।’ মঈন এরপর খানিকটা মজাও করলেন, ‘তবে দুই দিন পর মাঠে নামার চেয়ে ভালো। রোববার (ফাইনালে) বৃষ্টি হলে তো দুই দিনের বিরতি পেতাম (যেহেতু রিজার্ভ ডে ছিল ফাইনালে)। আমরা খেলোয়াড়েরা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলেও প্রতি দুই-তিন দিন পর পর ম্যাচ খেললে শতভাগ উজাড় করে দেওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে।’
মঈন এ বিষয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপের উদাহরণ টেনেছেন, ‘এমন তো অনেক দিন ধরেই হচ্ছে। ২০১৯ বিশ্বকাপ জয়ের দুই সপ্তাহের মধ্যে অ্যাশেজে খেলা ছিল আমাদের। ১০ দিনের মধ্যে টেস্টে মুখোমুখি হতে হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের। এসব লজ্জার বিষয়। কারণ, দল হিসেবে আমরা নিজেদের অর্জন উদ্যাপন করতে চাই। এটা শুধু টুর্নামেন্টের সময় হয় না, টুর্নামেন্টের আগে বিল্ড আপেও এমন হয়।’
মঈন এর আগে টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাননি। কোভিড মহামারির মধ্যে ‘জৈব সুরক্ষাবলয়ে’ থাকার ক্লান্তি পোহাতে চাননি। ইংল্যান্ডের সাদা বলের কোচ ম্যাথু মটকে অবশ্য এ বিষয়ে পাশেই পাচ্ছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার, ‘মিথ্যা বলব না, এটা আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমাদের আরও পেশাদার হওয়া উচিত। জয় উদ্যাপন করা উচিত। এমন জয় তো হরহামেশা আসে না। তাই এটা লুকোনোর জায়গা নেই যে আমরা এটা উপভোগ করতে চাই।’