চারজনের পেস আক্রমণ—রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বোলিং আক্রমণ এভাবেই সাজিয়েছিল পাকিস্তান। পরিকল্পনা ছিল পরিষ্কার—গতি দিয়ে ধসিয়ে দাও বাংলাদেশের ব্যাটিং। সেই পাকিস্তানই কি না, রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টর দ্বিতীয় ইনিংসে ধরাশায়ী বাংলাদেশের পেস আক্রমণে।
গতকাল শেষ বিকেলে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ২ উইকেট নিয়ে তাদের বিপদে ফেলেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। আজ পাকিস্তানের টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার এলোমেলো করেন দিয়েছেন নাহিদ রানা ও তাসিকন আহমেদ।
এই দুই পেসারের তোপে আজ চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান, তুলতে পেরেছে ১০৮ রান। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলেছে স্বাগতিকেরা। রিজওয়ান ৩৮ ও আগা সালমান ৭ রান নিয়ে অপরাজিত। এখন পর্যন্ত লিড ১২৯ রানের।
হাসান আগের দিনের বাকি থাকা দুটি বল করে যাওয়ার পর আক্রমণে আসেন তাসকিন। দিনের নবম ওভারে তিনিই বাংলাদেশকে এই সেশনে প্রথম উইকেট এনে দেন। ৩৫ বলে ২০ রান করা সাইম আইয়ুবকে তিনি ফেরান মিড অফে নাজমুল হাসানের ক্যাচ বানিয়ে।
তাসকিন সাইমকে তুলে নেওয়ার পর শুরু হয় নাহিদ রানার তাণ্ডব। সকালে এক প্রান্ত থেকে টানা ছয় ওভার বল করা তাসকিনকে বিশ্রাম দিয়ে নাহিদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল। আক্রমণে এসে তৃতীয় বলেই উইকেট নেন তিনি। গুড লেন্থের বল বেরিয়ে যাওয়ার সময় ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন শান মাসুদ। বল তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে (৩৪ বলে ২৮ রান)। পাকিস্তান হারায় চতুর্থ উইকেট।
নাহিদ এরপর ফেরান বাবর আজম ও সৌদ শাকিলকে। ৬ উইকেটে ৮৩ রান হয়ে যায় পাকিস্তানের স্কোর। পাকিস্তান হারাতে পারত আরেকটি উইকেট, যেটি পেতে পারতেন নাহিদই। কিন্তু বাবরের আউটের পরের বলেই প্রথম স্লিপে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন সাদমান ইসলাম। সেটি ছিল রিজওয়ানের খেলা প্রথম বল। রিজওয়ানকে না ফেরাতে পারলেও চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনটি বাংলাদেশেরই।