প্রথমে লিটন, পরে সাকিব—যেভাবে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

বাংলাদেশ ২, আয়ারল্যান্ড ০

আরেকটি ম্যাচ, আরেকটি একপেশে লড়াই।

টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন পল স্টার্লিং, আয়ারল্যান্ড ম্যাচে জিতেছে একমাত্র সেটিই। এরপর থেকে পুরোটাই বাংলাদেশের দাপট। বৃষ্টিতে খেলা শুরু হয়েছিল ৩-৪০ মিনিটে, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১০০ মিনিট পর।

রনি তালুকদারের সঙ্গে লিটন দাসের ঝোড়ো ওপেনিং জুটি, লিটনের রেকর্ডগড়া ৮৩ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ পায় ২০২ রানের বড় সংগ্রহ। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইনিংস এটিই।

আগের ম্যাচে রানতাড়ায় অন্তত শুরুটা ভালো করেছিল আয়ারল্যান্ড। তবে আজ তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসানের তোপে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে পড়ে তারা। সাকিব শেষ পর্যন্ত নেন ৫ উইকেট। কার্টিস ক্যাম্ফার ৩০ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন, পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে সেটি।

কীভাবে এলো বাংলাদেশের ৭৭ রানের জয়, পড়ুন নিচে—

মেঘলা চট্টগ্রাম থেকে স্বাগত

এই মেঘ, এই রোদ—চট্টগ্রামে আবহাওয়া ছিল এমন। কিছুক্ষণ ধরেই পুরো আকাশ ঢেকে গেছে মেঘে, আছে বাতাসও। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আপনাকে স্বাগত!

টস

আবারও টসে জিতেছেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক পল স্টার্লিং। আবার ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

শুরুতেই কাভার

সাকিব আল হাসান ও পল স্টার্লিং যখন টসের জন্য ম্যাচ রেফারির পাশে দাঁড়িয়ে, তখনোই কাভার নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছিলেন গ্রাউন্ডসম্যানরা। দুই অধিনায়ক উঠে যাওয়ার পরপরই কাভারে ঢেকে দেওয়া হয়েছে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের পিচ।

অপরিবর্তিত বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে কোনো পরিবর্তন নেই। অভিষেকের অপেক্ষা বাড়ল জাকের আলী ও রিশাদ হোসেনের।

একাদশ

লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন, শামীম হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।

বৃষ্টি

আকাশ ভেঙে ঝুম বৃষ্টি নেমেই গেল! দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি নির্ধারিত সময়ে শুরু হওয়া এখন প্রবল অনিশ্চয়তার মুখে।

চট্টগ্রামে বৃষ্টি

আয়ারল্যান্ড দলে একটি পরিবর্তন

একটি পরিবর্তন এনেছে আয়ারল্যান্ড। ক্রেইগ ইয়াংয়ের জায়গায় খেলছেন ফিওন হ্যান্ড।

আয়ারল্যান্ড একাদশ

মার্ক এডেয়ার, রস এডেয়ার, কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্যারেথ ডিলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, ফিওন হ্যান্ড, পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার ও বেন হোয়াইট।

কমে এসেছে বৃষ্টি

এ মুহূর্তে ঠিক প্রবল বৃষ্টি নেই, মাত্রা কমে এসেছে অনেকটাই। স্বাভাবিকভাবেই পিচ ঢাকা ভালোভাবেই। খেলা শুরুর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে।

বদলে যাওয়া রনির গল্প

প্রায় আট বছর পর আবার জাতীয় দলে ফেরাও বিপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে। রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১৩ ইনিংসে ১২৯ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৪২৫ রান। টুর্নামেন্টে তাঁর চেয়ে বেশি রান করেছেন মাত্র একজনই (নাজমুল হোসেন)। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি দিয়ে ফেরার পর জাকির হাসানের চোটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলেও জায়গা পেয়ে যান রনি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুর্ভাগ্য, রনির এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন ৩২-এ এসে।

থেমেছে বৃষ্টি

বৃষ্টি থেমেছে, কিন্তু বাতাসের বেগ এখনো প্রবল। কাভারও সরানো হয়নি… এরপরই উঠেছে রোদ। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে যে দর্শকেরা এসেছেন এরই মাঝে, তাদের উল্লাস শোনা গেল স্বাভাবিকভাবেই। খেলা এরই মধ্যে বিলম্বিত ২০ মিনিট, সেটি বাড়বে আরও।

সরানো হচ্ছে কাভার

সুসংবাদ! প্রায় ৫৫ মিনিট পর সরানো হচ্ছে কাভার। এমনিতে এ সিরিজে ম্যাচপ্রতি এক ঘণ্টা অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে ফল আনতে, তবে এ ম্যাচে ওভার কাটা যাওয়া শুরু হয়ে যাওয়ার কথা এরই মধ্যে।

মাঠ পর্যবেক্ষণে আম্পায়াররা

একদিকে সরানো হচ্ছে কাভার, এরই মধ্যে মাঠ পর্যবেক্ষণে নেমেছেন দুই অন ফিল্ড আম্পায়ার শরফউদ্দৌলা ও তানভীর আহমেদ। তাঁদের সঙ্গে আছেন রিজার্ভ আম্পায়ার গাজী সোহেলও। কিউরেটরদের সঙ্গে কথাও বলছেন তাঁরা।

সাকিবের প্রতিক্রিয়া!

টসের সময় আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক পল স্টার্লিং (মাঝে) ও ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনের (ডানে) সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান

৩-১৫ মিনিটে শুরু খেলা

নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর ৩-১৫ মিনিটে শুরু হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। ম্যাচ হবে ১৯ ওভারের।

আবার বৃষ্টি

এবং আবার বৃষ্টি!

জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা শুরুর ঘোষণা ভেসে ওঠার কিছুক্ষণ পরই বেড়ে গেল গ্রাউন্ডসম্যানদের কর্মতৎপরতা। আবার যে নেমেছে বৃষ্টি! আবার বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কায় তাই ম্যাচ।

এবং রোদ

বৃষ্টি থেমেছে। রোদও উঠেছে। সরানো হয়েছে কাভার। আবার মাঠ পর্যবেক্ষণে আম্পায়াররা। গা-গরমে নেমেছেন আইরিশ ক্রিকেটাররাও।

সরানো হয়েছে কাভার

১৭ ওভারের ম্যাচ

এর আগে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ১৯ ওভারে, এবার সেটি নেমে এলো ১৭ ওভারে। খেলা শুরু হবে ৩-৪০ মিনিটে।

পরিবর্তিত প্লেয়িং কন্ডিশন

৬ ওভারের পরিবর্তে পাওয়ারপ্লে এখন হবে ৫ ওভারের। দুজন বোলার করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৪ ওভার করে। বাকিরা করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ ওভার করে।

প্রথম ওভারে ডিলানি, রান ৮

প্রথম ম্যাচে অফ স্পিনার হ্যারি টেক্টরকে দিয়ে বোলিং ওপেন করানো হয়েছিল। এবার আয়ারল্যান্ডের হয়ে বোলিং ওপেন করতে এসেছেন লেগ স্পিনার গ্যারেথ ডিলানি। ডিপ মিডউইকেট ও ডিপ স্কয়ার লেগে দুই ফিল্ডার নিয়ে বোলিং করেছেন, তাঁর প্রথম ওভারে বাউন্ডারি আসেনি কোনো। বিনা উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ রান।

এডেয়ারের ওভারে ২ চার

মার্ক এডেয়ারকে টেনে লং অন দিয়ে চার মেরেছেন রনি, ইনিংসের সপ্তম বলে এসেছে প্রথম বাউন্ডারি। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে গ্লান্স করে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরেছেন লিটন দাস। এডেয়ারের প্রথম ওভারে এলো ১৩ রান, ২ ওভারে বাংলাদেশ ২১/০।

আবার আক্রমণাত্মক শুরু লিটন-রনির

লং অন ও ডিপ মিডউইকেটে থাকা দুজন ফিল্ডার ছুটে এলেও পাননি রনির ক্যাচটি, গ্রাহাম হিউমকে তুলে মারতে গিয়ে যেটি তুলেছিলেন রনি তালুকদার। এ ওভারেই হিউমকে ছক্কা মেরেছেন লিটন, লং অফের ওপর দিয়ে। ৮ ও ১৩ রানের পর এবার ১৬ রানের ওভার, ৩ ওভারে বাংলাদেশ ৩৭/০।

বাঁচলেন লিটন, বাংলাদেশের ঝোড়ো ৫০

ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ নিতে পারতেন জর্জ ডোকরেল, উলটো তাতে হয়েছে ছক্কা। সে সময় লিটনের রান ছিল ১৬। এডেয়েরারের পরের দুই বলে দুই চার মেরে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়েছেন লিটন। ৩.৩ ওভারেই ৫০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

পাওয়ারপ্লেতে ৭৩

প্রথম ম্যাচে পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ তুলেছিল ৮১ রান। এবার পাওয়ারপ্লে ৫ ওভারের, তবে বাংলাদেশ তুলেছে ৭৩ রান। লিটন অপরাজিত ১৭ বলে ৪৯ রানে, রনি তালুকদার ১৩ বলে ২২ রানে।

আশরাফুলের রেকর্ড ভাঙলেন লিটন

১৮
বাংলাদেশের দ্রততম টি-টোয়েন্টি ফিফটির রেকর্ড এখন লিটন দাসের

বেন হোয়াইটের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করলেন লিটন। মাইলফলকে যেতে তাঁর লাগল ১৮ বল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই এখন বাংলাদেশের দ্রুততম ফিফটি। লিটন ভাঙলেন মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৬ বছরের পুরোনো ২০ বলে ফিফটির রেকর্ড, ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।

লিটন-রনির নতুন রেকর্ড

১০৩*

ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মিসফিল্ডে চার পেয়েছেন লিটন, করেছিলেন রিভার্স সুইপ। তাতেই ১০০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ৯১ রানের পর এবার ১০৩* রানের জুটি গড়লেন লিটন ও রনি। ওপেনিংয়ে এখন এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

আগের সর্বোচ্চ ছিল মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকারের ১০২ রানের।

দ্রুততম ফিফটি

লিটনের সর্বোচ্চ

৭৭*
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে লিটনের সর্বোচ্চ ইনিংস এখন এটিই। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭৩ রানের।
৯ ওভারে বাংলাদেশ ১২৩/০।

থামলেন রনি

৩৮ বলে ৬৭।

২২ বলে ৪৪।

টানা দ্বিতীয় ফিফটি না পেলেও রনি খেললেন আরেকটি ঝোড়ো ইনিংস। বেন হোয়াইটকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েছেন, লিটনের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটিতে এর আগে উঠেছে ১২৪ রান।

লিটন—৮৩ রান

ছেড়ে দিলে নিশ্চিতভাবেই হতো ওয়াইড। লিটন তাড়া করতে গেলেন সেটিই। বেন হোয়াইটের সে বলেই আউটসাইড-এজড হয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হলো লিটনকে। ৪১ বলে ৮৩ রানেই থামলেন লিটন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি দেখা হলো না তাই। ১৩৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ১৫০

টেক্টরকে ছক্কার পর চার মেরেছেন সাকিব, ১৩তম ওভারেই ১৫০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

সাকিব-হৃদয়ের ৫০ রানের জুটি

রনি তালুকদারের পর লিটন দাস ফিরলেও রানের গতি সেভাবে কমেনি বাংলাদেশের। সাকিব ও তাওহিদ হৃদয়, ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন দুজনই। তাঁদের জুটিতে ৫১ রান উঠেছে মাত্র ২৪ বলে।

এবার বাংলাদেশের ২০২

প্রথম ম্যাচে ১৯.২ ওভারেই ২০৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। এবার ১৭ ওভারেই তুলল ২০২ রান। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টানা দুই ম্যাচে ২০০ বা এর বেশি রানের স্কোর গড়ল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ইনিংসে প্রথম বাউন্ডারিটি এসেছিল সপ্তম বলে। এরপর সে অর্থে আর পেছন ফিরে তাকায়নি তারা। যদিও রনি তালুকদার ফেরার পর সাকিব ও লিটনের জুটিতে ১৪ রান উঠতে লেগেছে ১৬ বল, তবে বাংলাদেশ আরেকবার পেয়েছে বড় সংগ্রহ।

অধিনায়ক সাকিব ২৪ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে মেরেছেন ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে তাওহিদ হৃদয় ৩ চার ও ১ ছক্কায় খেলেছেন ১৩ বলে ২৪ রানের ইনিংস।

বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইনিংস

১১.৮৮
আজ প্রতি ওভারে এ হারে রান তুলেছে বাংলাদেশ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ১১.৭৫, ২০১৬ সালে ধর্মশালায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ ওভারে ৯৪ রান তুলেছিল তারা।

প্রথম বলেই স্টার্লিং নেই

আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, তাসকিন যেন শুরু করলেন সেখান থেকেই! ইনিংসের প্রথম বলেই ফেরালেন পল স্টার্লিংকে। অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা তাড়া করতে গিয়েছিলেন আইরিশ অধিনায়ক, উইকেটের পেছনে ডানদিকে লাফিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন লিটন। দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের, বীভৎস শুরু আয়ারল্যান্ডের!

প্রথম বলে উইকেট সাকিবেরও

সাকিবের বলটা ছিল শর্ট লেংথে। সেটিতে লরকান টাকার খেললেন অদ্ভূত এক শট। হাঁটু গেড়ে পুলের মতো করতে চেয়েছিলেন, শেষ মুহূর্তে কেমন ব্যাট থামিয়ে ফেললেন। স্কয়ার লেগে তাতেই অবশ্য রনির কাছে গেল সহজতম ক্যাচ। ৭ রানেই ২ উইকেট নেই আয়ারল্যান্ডের। তাসকিনের মতো প্রথম বলে উইকেট পেলেন সাকিবও।

দুই ছক্কার পর আরেকটি উইকেট

নাসুমকে মিডউইকেট দিয়ে টানা দুই ছক্কা মেরেছেন হ্যারি টেক্টর। প্রথম দুই ওভারে ১২ রান ওঠার পর তৃতীয় ওভারে এসেছে ১৪ রান। তবে সাকিব ফিরেই বোল্ড করেছেন রস এডেয়ারকে। জায়গা থেকেই ব্যাট চালিয়েছিলেন, তবে আটকাতে পারেননি। ২৬ রানে ৩ উইকেট নেই, চট্টগ্রামে বিপদে আয়ারল্যান্ড।

আরেকটি…

এবং আরেকটি উইকেট। গুটিয়ে যেতে যেন তর সইছে না সফরকারীদের। সাকিবের নিচু হওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে বটম-এজড হয়েছেন গ্যারেথ ডিলানি, সাকিবকে যিনি মেরেছিলেন একটি ছক্কা। ৪ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩২ রান, নেই ৪ উইকেট!

সাকিবের চতুর্থ

সুইপ করতে গিয়ে মিস করে গেছেন জর্জ ডকরেল, আম্পায়ার তানভীর আহমেদ দেন এলবিডব্লিউ। ডকরেল রিভিউ নিয়েছিলেন বটে, তবে সেটি নিতে হয় বলেই। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, বল হিট করে যেত মিডল-লেগ স্টাম্প। সাকিব পেয়েছেন চতুর্থ উইকেট, আয়ারল্যান্ড হারিয়েছে পঞ্চম উইকেট। তাদের সংগ্রহ এখন ৪২ রান, ৫.৩ ওভারে!

সাকিবের পঞ্চম!

আবার সুইপের চেষ্টা, আবার ব্যর্থ। এবার ব্যাটসম্যান হ্যারি টেক্টর। লাইন পুরো মিস করে লেগ স্টাম্প হারিয়েছেন তিনি। সাকিব পেয়েছেন পঞ্চম উইকেট, আয়ারল্যান্ড হারিয়েছে ষষ্ঠ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বার পঞ্চম উইকেট পেলেন সাকিব।

এখানেও প্রথম সাকিব

প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একাধিকবার ৫ উইকেট পেলেন সাকিব। সব মিলিয়ে সাকিবের আগে এ কীর্তি ছিল আর ১১ জনের।

সাকিব—৫/২২

শেষ বলে এসে চার খেলেন সাকিব, নাহলে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংটা (৫/২০) হয়েই যেত তাঁর। আপাতত ম্যাচে অবশ্য তেমন কিছু যায় আসছে না তাতে। ৮ ওভারে ৬০ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড।

সবার ওপরে সাকিব

১৩৬
টিম সাউদিকে (১৩৪) ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সাকিব আল হাসান।

হাসানের প্রথম, আয়ারল্যান্ডের সপ্তম

নবম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসেছিলেন হাসান মাহমুদ, প্রথম উইকেট পেলেন তার পরের ওভারে। আউটসাইড-এজড হয়ে কট বিহাইন্ড হয়েছেন মার্ক এডেয়ার। বড় পরাজয়ের দিকে আরেকটু এগিয়ে গেছে সপ্তম উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ড। এখনো ৪০ বলে তাদের প্রয়োজন ১২৯ রান।

রইল বাকি দুই

ফিওন হ্যান্ড ক্রিজে ফিরেও আসতে ধরেছিলেন স্ট্রাইক নিতে, ফিল্ডাররাও প্রস্তুত ছিলেন। তবে বল ট্র্যাকিং দেখাল—আম্পায়ার্স কল! হ্যান্ডকে ফিরতে হলো তাই। তাসকিন আহমেদের ইয়র্কারের জবাব ছিল না তাঁর কাছে। আয়ারল্যান্ড ৮ উইকেটে ৮৬ রান, ১২.৩ ওভার। তাসকিনের এটি দ্বিতীয় উইকেট।

ফিফটির পর আউট ক্যাম্ফার

তাসকিনকে রিভার্স স্কুপ করে ছক্কা মেরে ২৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। তবে পরের বলেই হলেন বোল্ড, ইয়র্কার সামলাতে পারেননি তিনি।

৭৭ রানে জিতল বাংলাদেশ

আয়ারল্যান্ড শেষ পর্যন্ত অলআউট হলো না, ১৭ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৫ রান তুলেই থামল তারা। তাতে অবশ্য বড় পরাজয় আটকায়নি। বাংলাদেশ জিতেছে ৭৭ রানে। রানের হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। বড় এই জয়ে এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।