গত বিপিএলেও ফাইনাল খেলেছিলেন। পেয়েছিলেন ফিফটিও। তবে শিরোপা জেতা হয়নি। শুধু গত বিপিএলেই নয়, এখন পর্যন্ত বিপিএলের ৯ আসরে কখনই শিরোপার স্বাদ পাননি মুশফিকুর রহিম। সেই অধরা শিরোপার খোঁজে মুশফিক এবার ফরচুন বরিশালে।
বিপিএলে এটি মুশফিকের নবম ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাঁকে দলে ডেকে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্লেয়ার্স ড্রাফটে মুশফিকের পারশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮০ লাখ টাকা। যার মানে তিনি ছিলেন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
ফরচুন বরিশালে মুশফিক সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদকে। এ ছাড়া বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এরই মধ্যে তারা নিশ্চিত করেছে ইব্রাহিম জাদরান, শোয়েব মালিক, পল স্টার্লিং, ফখর জামান, মোহাম্মদ আমির, আব্বাস আফ্রিদি ও দুনিথ ভেল্লালাগেকে।
বিপিএলে এখন পর্যন্ত মুশফিক ম্যাচ খেলেছেন ১১১টি। ১০৫ ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের রান ২৮৮২। যা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশির ক্রিকেটারদের মধ্যে বিপিএলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডও এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের। বিপিএলে এর আগে আরও আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলেছিলেন মুশফিক। এর তিনটিই ছিল সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজির-রয়্যালস, সুপারস্টার্স ও স্ট্রাইকার্স।
মুশফিক এর আগেও একবার বরিশালের হয়ে খেলেছেন, সেটা ২০১৬ সালে বরিশাল বুলসের হয়ে। ফরচুন বরিশালের হয়ে এবারই প্রথম খেলবেন মুশফিক। এ ছাড়া তিনি খেলছেন চিটাগং ভাইকিংস, দুরন্ত রাজশাহী, রাজশাহী কিংস ও খুলনা টাইগার্সের হয়ে। সবচেয়ে বেশি ২৫টি ম্যাচ মুশফিক খেলেছেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে।
গত মৌসুমে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১৫ ম্যাচ খেলে মুশফিক রান করেছিলেন ৩৫৭ । ফাইনালে পেয়েছিলেন ফিফটিও। এরপরও তাঁকে দলে ধরে রাখেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। সিলেট ধরে রেখেছে মাশরাফি বিন মুর্তজা, জাকির হাসান ও তানজিম হাসান সাকিবকে।