শুবমান গিলের উইকেট নেওয়ার পর জেমস অ্যান্ডারসনের উল্লাস
শুবমান গিলের উইকেট নেওয়ার পর জেমস অ্যান্ডারসনের উল্লাস

৪১ পেরিয়ে অ্যান্ডারসনের ‘নতুন’ রেকর্ড

জেমস অ্যান্ডারসন বোলিংয়ে আসার পরপরই টেলিভিশন ধারাভাষ্যে তাঁর গুণগান শুরু হলো আরেকবার। ক্রিকইনফোর বল বাই বল ধারাভাষ্যে পাঠকেরা শুরু করলেন—অ্যান্ডারসনের যখন অভিষেক, তখন তাঁরা কে কী করতেন। ২১ বছর আগে কে কোথায় ছিলেন, সেটি হুট করে অনেকেরই হয়তো মনে পড়বে না।

তবে অ্যান্ডারসন ব্যতিক্রম। ২০০৩ সালেও টেস্ট ক্রিকেট খেলছিলেন, এখনো খেলছেন। বিশাখাপট্টনমে আজ ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেছেন টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার। সেখানে আজ আরও কিছু কীর্তিও গড়ে ফেলেছেন তিনি।

২২

এ নিয়ে ২২তম পঞ্জিকাবর্ষে টেস্ট খেলতে নামলেন অ্যান্ডারসন। তাতে শিবনারায়ণ চন্দরপলকে ছুঁয়ে ফেললেন তিনি। ১৯৯৪ থেকে ২০১৫—টানা ২২ বছর খেলেছেন চন্দরপল। এ দুজনের ওপরে আছেন শুধু শচীন টেন্ডুলকার—১৯৮৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ২৫ বছর টেস্ট খেলেছেন তিনি।

৪১ পেরিয়েও ছুটছেন অ্যান্ডারসন

২০০৩ সালে অ্যান্ডারসনের অভিষেক উইকেট ছিল জিম্বাবুয়ের মার্ক ভারমিউলেনের। শুবমান গিলের উইকেটটি তাঁর ৬৯১তম। এ নিয়ে ২২টি ভিন্ন পঞ্জিকাবর্ষে টেস্ট উইকেট নিলেন অ্যান্ডারসন। এই কীর্তি নেই আর কারও। টেন্ডুলকার ক্যারিয়ারে দুটি বছর বাদে বাকি সব কটিতেই বোলিং করেছেন, তবে উইকেট পেয়েছেন ১৩টি ভিন্ন বছরে। আর চন্দরপল উইকেট নিয়েছেন ৫টি আলাদা বছরে।

৪১

গত জুলাইয়ে ৪১ পূর্ণ করেছেন অ্যান্ডারসন। মানে গিলের উইকেটটি ৪১তম জন্মদিনের পর নিলেন অ্যান্ডারসন। ৪১তম জন্মদিনের পর উইকেট নেওয়ার কীর্তি অ্যান্ডারসনের আগে সাতজন পেসারের ছিল। তবে এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ উইকেট গ্রাহাম গুচের, ১৯৯৪ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্যাবায় ৪১তম জন্মদিনের পর উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।

৪১ বছর ১৮৭ দিন

আজ অ্যান্ডারসনের বয়স। ভারতের মাটিতে সবচেয়ে বেশি বয়সী পেসার হিসেবে টেস্ট খেলতে নামলেন তিনি। ছাড়িয়ে গেলেন লালা অমরনাথকে। ১৯৫২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অমরনাথ নেমেছিলেন ৪১ বছর ৯২ দিন বয়সে।