সেঞ্চুরি, ৫ উইকেট, হ্যাটট্রিক, চতুর্থ ইনিংসের রান তাড়া—সিলেট বিভাগ ও ঢাকা মহানগরের ম্যাচে এর সবই ছিল। সঙ্গে যোগ হয়েছে মহানগরের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান নাঈম ইসলামের বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার মতো ঘটনা। এমন ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জিতে মাঠ ছেড়েছে মহানগর।
আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২ নম্বর মাঠে মহানগরের ২০৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১৬ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। মহানগরের বাঁহাতি স্পিনার আরিফ আহমেদ ৫ উইকেট শিকার করেন। তবে সিলেটের বড় ক্ষতিটা করেন দুই পেসার আবু হায়দার ও শহীদুল ইসলাম। দুজনের প্রথম স্পেলেই দলীয় ২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় জাকির হাসানের দল।
সেখান থেকে সিলেটকে আর ঘুরে দাঁড়াতে দেয়নি আরিফের বাঁহাতি স্পিন। মাত্র ৪৮ ওভারেই থামে সিলেটের ইনিংস। ৮৮ রানের বড় হারে এবারের জাতীয় লিগ শুরু হলো সিলেটের।
এর আগে নাঈম (৬৫) ও সাদমান ইসলামের (৫৬) ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ২৪৩ রান করে মহানগর। জবাবে জাকিরের সেঞ্চুরি (১০৪) ও জাকের আলীর ফিফটিতে (৫৫) ২৫১ রান করে সিলেট। দুই দলের লড়াইটা আরও জমে ওঠে মহানগরের দ্বিতীয় ইনিংসে। মার্শাল আইয়ুবের ফিফটি (৫৭) ও নাঈমের অপরাজিত ৪৪ রানের সৌজন্যে মহানগরের ইনিংস থামে ২১২ রানে।
অপরাজিত ইনিংসের সৌজন্যে তুষার ইমরানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন নাঈম। সিলেটের হয়ে একই ইনিংসে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন পেসার রেজাউর রহমান। তবে শেষ পর্যন্ত রেজাউরের হ্যাটট্রিক ছাপিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচেই ৫ উইকেট শিকার করেন আরিফ। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা ওঠে আবু হায়দারের হাতে, দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬ উইকেটের সঙ্গে প্রথম ইনিংসে তাঁর ৩৪ রানের ইনিংস মহানগরকে এগিয়ে দেয়।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের ৩১২ রানের লক্ষ্য ছুঁতে খেলতে নেমে ২২৪ রানে অলআউট বরিশাল বিভাগ। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৭ রান করেন সোহাগ গাজী। চট্টগ্রামের ৮৭ রানের জয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন চট্টগ্রামের বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান ও ফাহাদ হোসেন।
এর আগে মুমিনুল হকের ৯৪ ও পিনাক ঘোষের ৯৬ রানের সৌজন্যে চট্টগ্রাম তাদের প্রথম ইনিংসে ২৩৮ রান করে। বরিশালের সোহাগ গাজী নিয়েছেন ৫ উইকেট। বরিশালের প্রথম ইনিংস থামে ২৩৫ রানে। চট্টগ্রাম এগিয়ে যায় তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে; ইয়াসির আলী (৭৪), শামীম হোসেন (৬৭) ও নাঈম হাসানের (৫১) ফিফটিতে বরিশালকে ৩১২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় চট্টগ্রাম।