পিসিবির চেয়ারম্যানের পদটা যেন মিউজিক্যাল চেয়ার। রমিজ রাজার বিদায়ের পর কয়েক মাস আগে এই পদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন নাজাম শেঠি। এবার নাজাম শেঠির জায়গায় পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে ফিরছেন জাকা আশরাফ। এরই মধ্যে নাজাম শেঠির প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলের বিরোধিতা করেছেন নতুন চেয়ারম্যান হতে যাওয়া জাকা আশরাফ। তাঁর মতে, এশিয়া কাপের সব কটি ম্যাচই হওয়া উচিত পাকিস্তানে।
পুরোনো ম্যানেজমেন্টের সমালোচনা করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। নাজাম শেঠি দায়িত্ব নেওয়ার পরও নির্বাচকের পদে রদবদলসহ অনেক কিছুর পরিবর্তন করেছিলেন।
মূলত ভেন্যু জটিলতায় এশিয়া কাপ আদৌ হবে কি না, এই নিয়ে শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত নাজাম শেঠির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রস্তাবিত ‘হাইব্রিড মডেল’টি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) অনুমোদন পায়। হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে।
তবে সেখানের আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে এসিসি দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বেছে নেয় শ্রীলঙ্কাকে। পাকিস্তান মূল আয়োজক হলেও অবশ্য ম্যাচ বেশি পাচ্ছে শ্রীলঙ্কাই। মোট ম্যাচ ১৩টি, শ্রীলঙ্কায় হবে ৯টি ম্যাচ। বাকি ৪টি ম্যাচ পাকিস্তানে হবে। পাকিস্তানে হওয়া সব কটি ম্যাচই হতে পারে লাহোরে।
নাজাম শেঠির কমিটির মেয়াদ ছিল গতকাল পর্যন্ত। অর্থাৎ, এর পরই দায়িত্ব নেওয়ার কথা জাকা আশরাফের। আর এবারের এশিয়া কাপ শুরু হবে ৩১ আগস্ট, ফাইনাল ১৭ সেপ্টেম্বর। জাকা আশরাফের এই বিরোধিতা এশিয়া কাপে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, সেটা নিশ্চিত নয়।
তবে ইসলামাবাদে গতকাল সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময়ে সরাসরি জাকা আশরাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই হাইব্রিড মডেলের বিপক্ষে, ‘আমি হাইব্রিড মডেলের পক্ষে না। টুর্নামেন্টের পুরোটাই পাকিস্তানে হওয়া উচিত। কারণ, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল সেই স্বত্ব পাকিস্তানকে দিয়েছে। কিন্তু বড় ম্যাচগুলোতে এই মডেল অনুযায়ী অন্য জায়গায় হবে, শুধু নেপালের মতো ছোট দলগুলো এখানে খেলবে। পাকিস্তানের সঙ্গে ন্যায়বিচার হয়নি।’
দায়িত্ব নিয়ে কম সময়ের মধ্যে সেরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জাকা আশরাফ, ‘আগের ম্যানেজমেন্ট কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি জানি না। কারণ, সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলোও আমার কাছে নেই। দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখব, পাকিস্তানের জন্য এই কম সময়ে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্তটা নেওয়ারই চেষ্টা করব।’