নাসুম ৬.৫, লিটন ১

চোটে পড়ার আগের তুলনায় এ ম্যাচের তামিমকে বেশ স্বচ্ছন্দ মনে হয়েছে। এ ইনিংস ওকে পরের ম্যাচগুলোর জন্য নিশ্চয়ই আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।

ফর্ম যেমনই হোক, নিজের ওপর আস্থা রাখাটা জরুরি। এ মুহূর্তে অধিনায়কত্বের বোঝাটা বইতে না হলেই হয়তো ভালো হতো। বোলারদের পরিবর্তন, শেষ কয়েক ওভারের পরিকল্পনাটা আরও ভালো হতে পারত।

ব্যাটে-বলে দারুণ হচ্ছে অথচ ইনিংসটা বড় হচ্ছে না। দুই ‘তামিমের’ একটা জুটি হলে ম্যাচটা আমাদের হতেও পারত। নিজের উইকেটের মূল্যটা বুঝতে হবে।

পারফরম্যান্সে আরও ধারাবাহিক হওয়া জরুরি। সে এ দলের অন্যতম ম্যাচজয়ী ব্যাটসম্যান, এটা তাকে বুঝতে হবে।

আস্থার প্রতিদান দিতে পারেনি। এর পরও সুযোগ পায় কি না, তা দেখার জন্য সবাই হয়তো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে। চমৎকার ক্যাচের জন্য ১ বেশি পাবে।

বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান সঙ্গে না থাকলে এত বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করা সত্যি কঠিন। এত দিন পর, চাপের মুখে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় সন্তোষজনক ইনিংস।

৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রানও দিয়েছে কম। একাধিকবার প্রমাণ করেছে যে চাপের মুখে তার ওপর আস্থা রাখা যায়। ব্যাটিংয়েও আত্মবিশ্বাসী।

প্রমাণ করেছে যে রক্ষণাত্মক বোলিংয়ের পাশাপাশি প্রয়োজনে আক্রমণাত্মক বোলিংয়েও সক্ষম। ব্যাটিংয়ে উন্নতি চোখে পড়ার মতো।

শুরুতেই কন্ডিশনের সহায়তা কাজে লাগিয়ে উইকেট তুলে নিয়েছে। বেশ অনেকগুলো উইকেটটেকিং ডেলিভারি ছিল তার স্পেলে। শরীরী ভাষা দারুণ ইতিবাচক।

টম ব্লান্ডেলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ম্যাচের বিভিন্ন সময় প্রত্যেকটা স্পেলেই ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ বজায় রেখেছে।

একটু খরুচে হলেও প্রথম ম্যাচেই ৩ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ২৫৪ রানে আটকে রাখার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। এই সংস্করণেও নিজেকে মোটামুটি ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে।