টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারত অপ্রতিরোধ্য; বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তো বটেই। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, একটা পরিসংখ্যানে এই ভারতের সঙ্গে কঠিন লড়াই হচ্ছে উগান্ডা ক্রিকেট দলের, যে লড়াইয়ে এই মুহূর্তে ভারত কিছুটা এগিয়ে। সেটা অবশ্য শতাংশের হিসাবে। এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড উগান্ডারই থাকছে। ভারতের পক্ষে এ বছর তা ছোঁয়া সম্ভব হবে না।
চলতি বছরে ভারত এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ২৩টি, যেখানে তাদের জয় ২২টিতে। এর মধ্যে দুটি জয় এসেছে সুপার ওভারে। আর একমাত্র হারটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে ভারতের ম্যাচ জয়ের হার ৯৫.৬ শতাংশ। গত বছর উগান্ডা ৩৩ টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছিল ২৯টি, জয়ের হার ৮৭.৯ শতাংশ। জয়ের সংখ্যা আর জয়ের হার—দুই দিক থেকেই সেটি ছিল রেকর্ড। ভারত এবার জয়ের সংখ্যা ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ না পেলেও হারে ঠিকই টপকে গেছে। ভারত জয়ের সংখ্যায় উগান্ডাকে ছাড়াতে পারছে না এ বছর তাদের ম্যাচ ২৬টি বলে।
গতকাল ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত এই বছরের ২৩তম ম্যাচে ২২তম জয় পেয়েছে। এই সিরিজে তাদের ম্যাচ বাকি ৩টি। সব কটি ম্যাচ জিতলে ভারতের জয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৫। আর সূর্যকুমার যাদবের দলকে এখানেই থেমে থাকতে হবে।
কারণ, এই সিরিজের পর ভারত আর টি-টোয়েন্টি খেলবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ডারবানে প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া ভারত সিরিজের সব কটি ম্যাচেও জিতবে—এ নিশ্চয়তাও আসলে নেই। প্রতিপক্ষ যে দক্ষিণ আফ্রিকা!
২০২২ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি জিতেছিল ২৮টি। এক বছরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড তখন তাদেরই ছিল। শতাংশের হিসাবে যদিও এত জয় পাওয়ার পরও ভারতের সে বছরে খুশি থাকার কথা নয়। কারণ, সেই বছরে ভারত হেরেছিল ১২টি ম্যাচে। বাদ পড়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে।
ভারতের এক বছরে জেতা সর্বোচ্চ ম্যাচের রেকর্ড ভেঙেই উগান্ডা শীর্ষে। ওই জায়গায় তারা থাকবে এ বছর শেষেও। যদিও এই বছরে উগান্ডার পারফরম্যান্স তেমন একটা ভালো নয়। ১০ ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছে ৫টি। এর পেছনে অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটা ভূমিকা আছে। বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টিতে জিতেছিল উগান্ডা।
এক বছরে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি জেতার তালিকায় তানজানিয়া ও পাকিস্তানের ম্যাচও আছে। ২০২২ সালে তানজানিয়া জিতেছিল ২১ ম্যাচে। তাদের অবস্থান চতুর্থ। ২০২০ সালে ২০টি টি-টোয়েন্টি জেতা পাকিস্তান আছে তালিকার পাঁচে।