২০০২, ২০০৭ ও ২০১১—এই সালগুলো যুবরাজ সিংয়ের ভোলার কথা নয়। এই তিন বছর ভারতের হয়ে তিনটি ট্রফি জিতেছেন সাবেক অলরাউন্ডার। ২০০২-এ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০১১ সালে ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখা যুবরাজ এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত।
শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আয়োজনের বিশ্বকাপটা খুব কাছ থেকেই দেখবেন যুবরাজ। ফাইনালটা হয়তো মাঠে বসেই দেখবেন। বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালের সেই ফাইনাল শেষে বন্ধু ও সাবেক সতীর্থ রোহিত শর্মার হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি আর গলায় পদক ঝোলানো দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় আছেন যুবরাজ।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা রোহিত অধিনায়ক হিসেবে খেলবেন। যুবরাজের বিশ্বাস রোহিতের অধীনে ২০১১ সালের পর আবার বিশ্বকাপ জিতবে ভারত। আইসিসির সঙ্গে কথোপকথনে যুবরাজ বলেছেন, ‘(রোহিতের উপস্থিতি) খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমাদের সত্যি ভালো একজন অধিনায়ক দরকার। দরকার একজন বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়ক, যে কি না চাপের মধ্যেও সিদ্ধান্ত নিতে পারে। রোহিত সে রকমই একজন।’
রোহিতের নেতৃত্বের প্রশংসা করতে গিয়ে যুবরাজ বলেছেন, ‘আমাদের ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে যাওয়া ম্যাচে সে অধিনায়ক ছিল। সে পাঁচটি (অধিনায়ক হিসেবে) আইপিএল ট্রফি জিতেছে। ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তার মতো একজনকেই প্রয়োজন।’
ব্যক্তি রোহিতকে নিয়ে যুবরাজের বিশ্লেষণটা এ রকম, ‘যে যত সাফল্যই পাক না কেন, ব্যক্তি হিসেবে বদলাবে না। এটাই রোহিত শর্মার সৌন্দর্য। সে মজাপ্রিয় মানুষ, সব সময় দলের সবার সঙ্গে মজা করে। মাঠে অনেক ভালো একজন নেতা এবং ক্রিকেটে আমার অন্যতম কাছের বন্ধু।’
এমন একজন বন্ধুর জন্য সর্বোচ্চ যা চাওয়া যায়, সেটাই চাইলেন যুবরাজ, ‘সত্যি আমি রোহিত শর্মাকে একটি বিশ্বকাপ ট্রফি এবং একটি বিশ্বকাপ পদকসহ দেখতে চাই। সত্যিকার অর্থেই সে এটার প্রাপ্য।’