ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে বলেনি কিন্তু ব্যাটিংয়ে টানা ব্যর্থতার জেরে নিজেই অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ। তাঁর জায়গায় কে পাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব—এমন আলোচনা এখন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে।
ঘুরেফিরে আসছে কয়েকটি নাম। সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ আর টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারির নামও।
২০১৮ সালে বল টেম্পারিং–কাণ্ডের পর স্মিথকে ২ বছরের জন্য নেতৃত্বে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ঘটনার পর সাড়ে চার বছর পেরিয়ে যাওয়ায় এখন তাঁর নেতৃত্ব নিতে বাধা নেই। তবে অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়া নিয়ে এখনো কোনো আগ্রহ দেখাননি তিনি। আগ্রহ দেখিয়েছেন টেম্পারিং–কাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকা ওয়ার্নার।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) বলেছিল আর কখনোই নেতৃত্বের জন্য বিবেচনা করা হবে না ওয়ার্নারকে। তবে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে অধিনায়কত্ব নেওয়ার আগ্রহ আছে তাঁর। গত সপ্তাহে নেতৃত্ব নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সরাসরিই বলেছেন, ‘আমার ফোন আছে। বোর্ড চাইলে কথা বলতে পারে। আমিও খুশি মনে কথা বলতে বসতে রাজি।’
তবে স্মিথ বা ওয়ার্নার—কাউকেই নেতৃত্বের জন্য সঠিক ব্যক্তি মনে হচ্ছে না রিকি পন্টিংয়ের। অস্ট্রেলিয়ার টানা দুই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের ভোট বরং টেস্ট অধিনায়কের প্রতি, ‘আমার মতে, কামিন্সই অধিনায়ক হবে। আমি জানি, সে বোধগম্য কারণে ওয়ানডে বেশি খেলে না। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটে প্রচুর চাপ পড়ে, যেমনটা গত কয়েক বছর সব ফাস্ট বোলারের ক্ষেত্রেই হয়ে আসছে।’
২৯ বছর বয়সী কামিন্স এরই মধ্যে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অ্যাশেজ ও পাকিস্তানে সিরিজ জিতেছেন, ড্র করেছেন শ্রীলঙ্কায়।
তবে অস্ট্রেলিয়ার খেলা সর্বশেষ ৬৬ ওয়ানডের ২৮টিতেই খেলেননি তিনি, টেস্টের ধকল কাটাতে বিশ্রাম নিয়েছেন বারবার। অস্ট্রেলিয়ার তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব একজনকে দেওয়া যায় কি না, সে আলোচনায় স্পষ্ট ভাষায় ‘না’–ও বলেছেন।
২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপজয়ী পন্টিংয়ের মতে, ওয়ানডেতে নিয়মিত না হওয়ার পরও শেষ পর্যন্ত কামিন্সকেই অধিনায়ক বানানো হবে। আইসিসি রিভিউর সঙ্গে আলাপে পন্টিং তাঁর কথার সপক্ষে জোর দিয়ে বলেন, ‘কামিন্সকে অধিনায়কত্ব না দিলে আমি বিস্মিত হব।’
অস্ট্রেলিয়া এই মুহূর্তে টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ভারতে অবস্থান করছে। আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়াতে আছে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়ানডের অধিনায়ক নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছুদিন সময় পাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।