সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট কোনটি আর কোথায় হবে—আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই এটা এখন বড় প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নটি আজ উঠেছে কানপুর টেস্টের ধারাভাষ্যকক্ষেও। কানপুর টেস্টের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।
অবসরের ঘোষণায় সাকিব ছোট্ট একটি পাদটীকা রেখেছিলেন—ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট তিনি খেলতে চান দেশের মাটিতে। তবে তিনি যে দেশে আসবেন এবং দেশ থেকে আবার বিদেশে যাবেন, এই গোটা প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নির্বিঘ্নে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নিশ্চয়তাও দিতে হবে।
সাকিবের এই ঘোষণার পর বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিসিবি নেবে না। সাকিবের নিরাপত্তার ব্যাপারটি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন ফারুক।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল কথা বলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসানের পরিচয় দুইটা, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। খেলোয়াড় হিসেবে একটা পরিচয়, আরেকটা হচ্ছে ওনার রাজনৈতিক পরিচয়। আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচন করেছিলেন। মানুষের মধ্যে এই দুইটা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। এখন খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের একজন খেলোয়াড়কে যতটুকু নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব, সেটা অবশ্যই আমরা দেব। তিনি দেশে এলে সেটা আমরা দেব।’
সব মিলিয়ে অনেকেই ধরে নিয়েছেন সাকিবের হয়তো দেশের মাটিতে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটি খেলা হবে না। হয়তো কানপুরের বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টই হয়ে থাকবে সাদা পোশাকে তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সাকিব যখন ভারতের প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে আসেন, তামিম ইকবালকে প্রশ্নটি করেছেন তাঁর সতীর্থ এক ধারাভাষ্যকার। উত্তরে তামিম ধারণা করেন, ‘হয়তো এটাই তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।’ তামিম এরপর সাকিবের প্রশংসা করে বলেন, ‘কী অসাধারণ এক খেলোয়াড় সে। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় দূত সে। দেশে বা দেশের বাইরে টেস্ট, ওয়ানডে অথবা টি–টোয়েন্টি—সব সংস্করণেই দারুণ সব কীর্তি আছে তার।’
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হওয়ায় সাকিব একটি হত্যা মামলার আসামিও। এ কারণেই দেশে আসা এবং দেশ থেকে নির্বিঘ্নে বিদেশে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ আছে সাকিবের।