রুয়ান্ডাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে উগান্ডা
রুয়ান্ডাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে উগান্ডা

ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উগান্ডা, আবার ব্যর্থ জিম্বাবুয়ে

সমীকরণটা সহজই ছিল উগান্ডার জন্য। রুয়ান্ডাকে হারালেই মিলবে বিশ্বকাপের টিকিট। নামিবিয়ার উইন্ডহুকের ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রুয়ান্ডাকে উড়িয়ে দিয়েই ইতিহাস গড়ল উগান্ডা। ৯ উইকেটে জিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে দেশটি। আফ্রিকান অঞ্চলের চূড়ান্ত বাছাইপর্ব থেকে আগামী জুনে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছে নামিবিয়া। আফ্রিকার বাছাইপর্ব থেকে দুটি দলই যাবে বিশ্বকাপে।

বাছাইপর্বে উগান্ডা পেছনে ফেলেছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়াকে। দিনের অন্য ম্যাচে একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে তারা। তবে উগান্ডার জয়ে এখন আর সুযোগ নেই তাদের। নামিবিয়া ও উগান্ডা—দুই দলেরই এখন সমান ১০ পয়েন্ট (নামিবিয়ার বাকি ১ ম্যাচ)। জিম্বাবুয়ে বা কেনিয়া—দুই দলের যে কোনো একটির এখন সর্বোচ্চ ৮ পয়েন্ট হতে পারে।

দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে পঞ্চম আফ্রিকান দেশ হিসেবে খেলবে উগান্ডা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি ভেন্যুতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলবে ২০টি দল। চূড়ান্ত হয়ে গেছে ২০টি দলই।

পঞ্চম আফ্রিকান দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে উগান্ডা

টুর্নামেন্টে প্রথম ৫ ম্যাচে কোনো জয় না পাওয়া রুয়ান্ডা তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষই ছিল উগান্ডার জন্য। টসে জিতে রুয়ান্ডাকে ব্যাটিং করতে পাঠান উগান্ডা অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রুয়ান্ডা ১৮.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ৬৫ রানেই। আলপেশ রামজানি, দীনেশ নাকরানি, হেনরি সেনিয়োন্দো ও মাসাবা—৪ জনই নেন ২টি করে উইকেট।

রান তাড়ায় ষষ্ঠ ওভারে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রোনাক প্যাটেল (২০ বলে ১৮) ফিরলেও উগান্ডার সমস্যা হয়নি কোনো। অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উগান্ডার ইতিহাসগড়া জয় নিশ্চিত করেন সিমোন সিসাজাই ও রজার মুকাসা। ২১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সিসাজাই, মুকাসা করেন ৮ বলে ১৩ রান। ৮.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে উগান্ডা।

এর আগে তিনবার চূড়ান্ত বাছাইপর্ব খেলেছিল উগান্ডা, তবে পেরোতে পারেনি একবারও। চতুর্থ দফা এসে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ করে নিল তারা। এবার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা নামিবিয়ার বিপক্ষে ছাড়া সব ম্যাচই জিতেছে তারা, হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ার মতো দলকেও।

অন্যদিকে চার মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে না পারার যন্ত্রণায় পুড়তে হলো জিম্বাবুইয়ানদের। গত জুন-জুলাইয়ে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুর্দান্ত খেলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় ভারতের টিকিট পায়নি জিম্বাবুয়ে। এবার নামিবিয়ার কাছে প্রথম ম্যাচে হেরেই হোঁচট খাওয়া দলটি ছিটকে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দৌড় থেকেও।